![]() |
নন ওভেন সারজিক্যাল গাউন-ক্যাপ
|
নন ওভেন কাপড়কে নতুন টেকনোলজির
ফেব্রিক মনে করা হলেও মজার বিষয় হচ্ছে অনেক প্রাচীন কাল থেকে মানুষ নন ওভেন
ফেব্রিক ব্যাবহার করে আসছে । এর সবচেয়ে স্বীকৃত উদাহরণ হল আদিম মানুষের প্রাণীজ
পশমের কাপড় । নন ওভেন ফেব্রিকের সবচে প্রাচীন যে নিদর্শনটি পাওয়া গেছে তা
৩৫০০-৩০০০ খ্রিস্টপূর্ব সময়কালের । পশমি
কাপড়টি তৈরি হয়েছিল বিভিন্ন প্রানীর চুল থেকে ।
পরবর্তীতে আধুনিক যুগে যখন
আবার নন-ওভেনের প্রচলন পুনরায় শুরু হল তখন তা সীমাবদ্ধ ছিল কেবল প্রটেক্টিভ ক্লথ
হিসেবে যেমন তাবু টাঙ্গানোর মত নন ওভেন কাপড়ে।কিন্তু সম্প্রতি সার্জিকাল
গাউন-ক্যাপ,শিশু ডাইয়াপার, ফিল্টার ক্লথ,ভ্যাকুয়াম ব্যাগ,রুমাল,জিও ও হাইজেনিক টেক্সটাইল ছাড়াও বিভিন্ন
ফ্যাশনেবল গাউন,ব্রা,কাঁধের
প্যাড,গ্লভ ইন্সুলেশন ইত্যাদিতেও নন ওভেনের ব্যাবহার হচ্ছে ।
প্রথাগত ফেব্রিক
ম্যানুফাকচারিং এ প্রথমে ফাইবারকে ইয়ার্নে তারপর ইয়ার্নকে ফেব্রিকে রূপান্তরিত করা
হয়। কিন্তু নন ওভেনের ফেব্রিক ম্যানুফাকচারিং সম্পুর্ন আলাদা। এখানে ফাইবারকে
সরাসরি ফেব্রিকে পরিনত করা হয় ।
“তাপ ও
চাপের প্রভাবে সমান্তরাল,এলোমেলো বা
আড়াআড়ি থাকা ফাইবার গুচ্ছের সাথে আঠালো
তাপসহিষ্ণ ফাইবারের বন্ধন গঠনের মাধ্যমে নন ওভেন ফেব্রিক তৈরি হয়। “
ষাটের দশকে প্রথম যখন নন ওভেন
ফেব্রিকের উপড় গবেষণা শুরু হয়েছিল, তখন পপুলার না হলেও সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় এ ফেব্রিকের মানে অনেক
উন্নতি এসেছে। এখনকার নন ওভেন আগের তুলনায় অনেক হালকা,টেকসই,প্রসারণক্ষমতাসম্পন্ন ।
যদিও ওভেন ও নিটেড ফেব্রিক কে
কেন্দ্র করে মূলত এপারেল মার্কেট সচল , তথাপি কয়েক দশক ধরে নন ওভেনের প্রোডাক্ট ক্রমশ এপারেল মার্কেটে জায়গা করে নিচ্ছে ।
তথ্যসুত্রঃ-
http://www.fibre2fashion.com/
http://www.tikp.co.uk/knowledge/technology/nonwovens/introduction/
https://en.wikipedia.org/wiki/Nonwoven_fabric
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন