১)প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রঃ ক্রেতার কাছ থেকে পাওয়া কাজের অনুমোদনগুলোর কপি অবশ্যই সবসময় নিজের কাছে রাখতে হবে।বড় পরিসরে উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে মার্চেন্টাইজারকে যাবতীয় তথ্য যেমন স্যাম্পল,ডিজাইন,প্যাটার্ন,প্রোডাকশন প্যাটার্ন,লে প্লানিং,গ্রেডিং,সি.এম(কষ্ট অফ মেকিং),এফ ও বি
(ফরেইন অন বোট),প্রিন্টিং ডিজাইন,ফেব্রিকের মান ও রঙ সম্পর্কিত তত্থ্য ও সংশ্লিষ্ট নমুনা ইত্যাদি সংগ্রহ ও যথাযথ সংরক্ষণ করতে হবে।
২)নতুন কিছুঃ একজন মার্চেন্টাইজার কালেভদ্রে অবসর পেতে পারেন।কিন্তু যখনই অবসর পাবেন, তাকে তা ব্যাবহার করার মানুষিকতা রাখতে হবে।যেমন মার্চেন্টাইজিং সম্পর্কিত বই পরতে হবে,ফ্যাশন শো ও বিভিন্ন প্রদর্শনীতে যেতে হবে ।এছাড়াও সেলাই,এম্ব্রয়ডারি,প্রিন্তিং,ওয়াশিং ইত্যাদি বিষয়গুলোর উপড় ব্যাবহারিক জ্ঞান বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হতে হবে। নিয়োমিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টুরে যেতে হবে।
৩) হিসাবঃ যেকোন কাজে সফল হতে কাজের আমাদের প্রত্যাহিক কাজের তালিকা থাকা বাঞ্ছনীয়।অনেক গুলো কাজ একাহাতে তখনই করা সম্ভব হবে যখন তার পেছনে থাকবে পরিষ্কার পরিকল্পনা ও সতেজ ধীর মস্তিস্ক। মার্চেণ্টাইজিং পেশায় স্বভাবতই অনেক রকমের চাপ ও প্রতিবন্ধকতা থাকে। তাই কোন একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা ভুলে যাওয়া অবাস্তব কিছু না।কারণ মানুষ হিসেবে জীবনের সব বিষয়ে সমান প্রাধান্য দেয়া কারো পক্ষেই সম্ভব না।উপুর্যপরী যদি সীমিত সময়ের মধ্যে অনেক কাজ সমাধানের দায়িক্ত থাকে,তাহলে আমাদের স্নায়ু তখন ক্রমশ অসুস্থ হতে থাকে এবং প্রত্যাশা অনুযায়ী অর্জন পাওয়া যায় না।যদি আমরা আমাদের বেশি ও কম গুরুত্বপূর্ণ কাজকে আলাদা আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারি তাহলে খুব সহজেই অনেক কিছুর সমাধান পাওয়া যায়।এজন্য আমাদের প্রথমেই যা করতে হবে তা হল একটি নোটবুক খুলতে হবে এবং তাতে কাজের নাম লিখে রাখতে হবে,লিখার সময় তিনটি কলাম করতে হবে আবশ্যক,হয়ত ও যেকোন সময় ।
আবশ্যকঃযেসব কাজ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সম্পন্ন করা বাঞ্ছনীয় ।
হয়তঃআগামী সপ্তাহের কাজ শেষ করার পর যে কাজগুলো করতে হবে।
যেকোন সময়ঃযে কাজগুলো করতেই হবে তবে কোন তাড়া নেই ।
সম্পন্ন কাজ গুলোর জন্য আলাদা ছকের প্রয়োজন নেই শুধু তাদের পাশে (done) সাইডনোট লিখে রাখলেই চলবে।
৩)মেইলঃ যোগাযোগ রক্ষা করার নৈপুন্য মারচেন্টাইজিং পেশার প্রধান গুরুত্বপূর্ণ দিক। যিনি সুন্দরভাবে সবার সাথে যোগাযোগ রাখতে সমর্থ হবেন একমাত্র তিনিও এ পেশায় সফলতা পাবেন।আধুনিক কালের সবচেয়ে সহজ ও সস্তা যোগাযোগ মাধ্যম ই মেইল।অর্ডার দেয়া থেকে শুরু করে প্রোডাকশন সম্পর্কিত যেকোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে মেইলের ব্যাবহার সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।এজন্য পাঠানো মেইলগুলোর ইনবক্স যদি ভাল করে পড়া না হয়, তাহলে অনেক কিছু সম্পর্কে অজ্ঞাত থেকে থাকতে হবে।তাই সবসময় চেষ্টা করতে হবে সবগুলো মেইল পড়ার এবং প্রয়োজনীয় তথ্য তৎক্ষণাৎ সবার সাথে শেয়ার করা।অল্প কথায় হলেও যতটাসম্ভব মেইলের উত্তর দেয়া।মেইল পড়ার জন্য শুধু পিসির ব্যাবহার যথেষ্ট নয় দ্রুত কাজ করার জন্য স্মার্ট ফোন সবচেয়ে ফলদায়ী।
৫)সম্পর্কঃ যেকোন কাজে সফলতার একটা বড় টেকনিক হল সবার সাথে মধুর সম্পর্ক।সবাই কে সম্মান করার মানুষিকটা যার পূর্ব শর্ত।কাউকে ছোট করে দেখা উচিৎ নয়।কারন একটা প্রোজেক্টকে বাস্তবে সফল করতে ছোট বড় সবার সমান সহযোগিতা প্রয়োজন।এটা সত্যি যে কোন ইন্ডাস্ট্রির শ্রমিক থেকে শুরু করে জি এম পর্যন্ত সবাই বেতন ভুক্ত কর্মচারী, তাই নির্ধারিত কাজ করতে তারা বাধ্য।কিন্তু এটাও সত্যি যে তারা শুধু নির্ধারিত কাজেই সীমাবদ্ধ তাকে তার কাজের বাইরে অতিরিক্ত কিছু করতে বলা আইনত অন্যায়।কিন্তু ধরা যাক প্রোডাকশন কাজ কোন বিশেষ যান্ত্রিক সমস্যায় আটকে গেল । এখন যদি মারচেন্তাইজারের সাথে সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ানের ভাল সম্পর্ক থাকে তাহলে হয়ত টেকনিশিয়ান সে কথা ভেবে নিজেই তা ঠিক করার চেষ্টা করবে।আর তাতে হয়ত প্রোডাকশন ঠিক সময়ে সম্পন্ন হবে ।
সর্বশেষে এই কথা দিয়ে শেষ করতে হয় “যাঁরা
কাজকে ভালবাসেন
,যারা বিশ্বমানের
কাজে নিজেকে
সম্পৃক্ত রাখতে
চান তাঁদের
পেশা মার্চেন্টাইজিং” ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন