ফ্যাশন এবং ইতালি |
ফ্যাশন ডিজাইনিং এ একটি অগ্রসর দেশ হিসেবে ইতালি বিখ্যাত
।ইতালিয়ানদের সংস্কৃতি, জীবনধারায় ও
সমাজের একটি বড় অংশ ফ্যাশন, এবং সুন্দর,রুচিশীল,ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিচ্ছদের জন্য ইতালিয়ানদের খ্যাতি রয়েছে। সবমিলিয়ে ইতালি বিশ্বের
একটি অন্যতম ফ্যাশন বান্ধব দেশ হিসেবে সুপরিচিত।
উনিশ শতকের
শুরু থেকে বৈশ্বিক ফ্যাশনের উপড় ইতালির ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির আধিপত্য বিস্তার শুরু করে।১৯৪০
সালে মাত্র ৩০
টি ফ্যাশন হাউজ নিয়ে ইতালি যাত্রা শুরু করলেও এ স্বল্প আকৃতি নিয়েই খ্যাতি ছড়াতে থাকে।তখন তাদের উৎপাদনের তালিকায় ছিল পুরুষদের পোশাক,নীটওয়ার এবং চামড়াজাত পোশাক। তৈরি পোশাক ও আনুষাঙ্গিক উপকরণ উৎপাদনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করা এই টেক্সটাইল শিল্প এখন ফ্যাশন ওরিয়েন্টেড পোশাক উৎপাদনের দিকে বেশি জোর দিয়ে থাকে। বর্তমানে এটি ইতালির দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থদ্বায়ী শিল্প। বাজার প্রসারণের স্বার্থে ইতালির বেশীরভাগ ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান এখন রপ্তানিমুখী।তাই রপ্তানির দিক দিয়ে সে দেশের জুতা শিল্পের পরই বুনন শিল্পের অবস্থান। আমেরকানদের কাছে ইতালিয়ান পোশাকের চাহিদা অনেক বেশি।
টি ফ্যাশন হাউজ নিয়ে ইতালি যাত্রা শুরু করলেও এ স্বল্প আকৃতি নিয়েই খ্যাতি ছড়াতে থাকে।তখন তাদের উৎপাদনের তালিকায় ছিল পুরুষদের পোশাক,নীটওয়ার এবং চামড়াজাত পোশাক। তৈরি পোশাক ও আনুষাঙ্গিক উপকরণ উৎপাদনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করা এই টেক্সটাইল শিল্প এখন ফ্যাশন ওরিয়েন্টেড পোশাক উৎপাদনের দিকে বেশি জোর দিয়ে থাকে। বর্তমানে এটি ইতালির দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থদ্বায়ী শিল্প। বাজার প্রসারণের স্বার্থে ইতালির বেশীরভাগ ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান এখন রপ্তানিমুখী।তাই রপ্তানির দিক দিয়ে সে দেশের জুতা শিল্পের পরই বুনন শিল্পের অবস্থান। আমেরকানদের কাছে ইতালিয়ান পোশাকের চাহিদা অনেক বেশি।
ইতালিয়ান ভাষায় তৈরি পোশাক শিল্পকে
বলা হয় মোডা প্রণ্টা(Moda Pronta)ইতালির মিলান শহর যার প্রাণকেন্দ্র।মিলানের অবস্থান
Como,Biella Torino শহরের খুব কাছাকাছি এবং এ তিনটি শহর ফেব্রিকের অন্যতম জোগানদাতা। ফ্লোরেন্স ও রোম আরও
দুইটি প্রধান ফ্যাশন দুরস্ত শহর । অসংখ্য ফ্যাশন কোম্পানি ইতালির আনাচে কানাচে ছড়িয়ে
থাকলেও এ তিনটি শহরকে ঘিরেই মুলত ইতালির ফ্যাশন জগতের মূল স্রোত গতিশীল।
২০১০ সালে মিলানকে পৃথিবীর ষষ্ট সবচেয়ে ব্যায়বহুল ফ্যাশান শহরের স্থান দেয়া হয়।ফ্যাশান সচেতন শহরের তালিকায় প্যারিস,নিউইওরক,লন্ডনের পরেই মিলানের অবস্থান চতুর্থ। মিলানের এই ফ্যাশন খ্যাতির পশ্চাতে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস।উনিশ শতকের শেষের দিকে পার্সিয়ান দেশের শিল্প সংস্কৃতিতে দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মিলান শহর এগিয়ে আসে এবং নিজেদের মৌলিকতার অধিকারী হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।যার কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট ছিল গাম্ভীর্যতা,সহজ নকশা ও মান সম্পন্ন ফেব্রিক।বিশ শতকের মাঝে এ শহর আজকের স্বরূপে উঠে আসে এবং ফ্যাশন দুরুস্ত শহর হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেয়।গ্লোবাল ল্যাঙ্গুয়েজ মনিটর মিলান কে বিশ্ব ফ্যাশনের রাজধানী বলে ঘোষণা করে। এ শহরে ভ্যালেন্টিনও,ভারসাক,পারডা,আরমানি, কস্টিউম ন্যাশনাল,ডলচে & গ্রাব্বানা মত নামকরা ফ্যাশন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবস্থিত।
২০১০ সালে মিলানকে পৃথিবীর ষষ্ট সবচেয়ে ব্যায়বহুল ফ্যাশান শহরের স্থান দেয়া হয়।ফ্যাশান সচেতন শহরের তালিকায় প্যারিস,নিউইওরক,লন্ডনের পরেই মিলানের অবস্থান চতুর্থ। মিলানের এই ফ্যাশন খ্যাতির পশ্চাতে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস।উনিশ শতকের শেষের দিকে পার্সিয়ান দেশের শিল্প সংস্কৃতিতে দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মিলান শহর এগিয়ে আসে এবং নিজেদের মৌলিকতার অধিকারী হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।যার কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট ছিল গাম্ভীর্যতা,সহজ নকশা ও মান সম্পন্ন ফেব্রিক।বিশ শতকের মাঝে এ শহর আজকের স্বরূপে উঠে আসে এবং ফ্যাশন দুরুস্ত শহর হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেয়।গ্লোবাল ল্যাঙ্গুয়েজ মনিটর মিলান কে বিশ্ব ফ্যাশনের রাজধানী বলে ঘোষণা করে। এ শহরে ভ্যালেন্টিনও,ভারসাক,পারডা,আরমানি, কস্টিউম ন্যাশনাল,ডলচে & গ্রাব্বানা মত নামকরা ফ্যাশন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবস্থিত।
ইতালির বিখ্যাত ব্র্যান্ড |
বৃহদায়তন শিল্প ও মান বজায় রাখতে এসমস্ত প্রতিষ্ঠানের কাজের ক্ষেত্র পৃথক ।কিছু প্রতিষ্ঠান শুধুই পোশাক ডিজাইনিং করছে, কিছু প্রতিষ্ঠান সেগুলোর ম্যানুফাকচারার, কিছু প্রতিষ্ঠান শুধু বাজারজাত করছে। এভাবে কাজ ভাগ করে নেয়ায় কাজের আয়তন যেমন কমেছে তেমনই পৃথক পৃথক কাজের উপর বেশি গুরুত্বআরোপ করা সম্ভব হয়েছে।এবং প্রতিযোগিতা বেড়ছে বলে মনে করা হয় ।ইতালির কয়েকটি বিখ্যাত বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের পক্ষে সহজেই নতুন প্রযুক্তি ও স্মার্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য অর্থব্যায়ের সক্ষমতা রয়েছে।আর এভাবেই ইতালি তাদের উচ্চমান সম্পন্ন পোশাক নির্মাণের খ্যাতি ধরে রাখছে।ফলশ্রুতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৩৯ শতাংশ পোশাক ইতালি জোগান দিয়ে থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন