সাধারণভাবেই পোশাক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যখন কোন পোশাক
তৈরির মডেল পরিকল্পনা করেন তখন তারা পোশাকটিকে যতটা সম্ভব সুন্দর ও আরামদায়ক ভাবে
তৈরি করার চেষ্টা করে । কারণ কোন
পোশাক তখনই মানুষের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে পৌছায় যখন তার মধ্যে উল্লেখিত দুটি
গুণাবলীই বিদ্যমান থাকে । পোশাকের সৌন্দর্য নির্ভর করে ভাল নকশার উপড় অন্যদিকে
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে দেহের বিভিন্ন অংশের প্রসারণকালে পোশাকের তাতে তাল মেলানোর ক্ষমতার উপড় নির্ভর
করে পোশাকের আরামদায়ক গুন । এজন্য যেকোন পোশাক তৈরির সময় দেহের ভিন্ন ভিন্ন গতিময়
অবস্থায় পর্যালোচনা করতে হয় । গবেষণায়
উঠে এসেছে এমন কিছু বিষয় যেগুলো চামড়ার বিভিন্ন প্রসারণের সময়ে অনুকুল ভুমিকা রাখে ।
যেমন পোশাকের ফিটিং,পোশাকের পিচ্ছিলতা
এবং পোশাকের কাপড়ের লম্বায়ন ক্ষমতা ।
প্রথমেই আসি পোশাকের ফিটিং এ , এটি নির্ভর করে পোশাকের
আকৃতি ও দেহের আকৃতির অনুপাতের ও নকশার উপড়ে । পোশাকের ফিটিং ঢিলা হলে দেহের বিভিন্ন অংশের চামড়া
প্রয়োজনমত প্রসারিত হওয়ার সুযোগ পায় , বেশি আটশাট হলে অস্বস্তিকর অনুভূতির সৃষ্টি
হয়।
পরের বিষয়
পোশাকে পিচ্ছিলতা,এটি নির্ভর করে চামড়া ও কাপরের স্তরের মধ্যকার ঘর্ষণ সহগের উপড় ,
পিচ্ছিলতা চামড়া প্রসারণে সহায়তা করে ।
তারপর আসে কাপরের লম্বায়ন ক্ষমতা,
কাপরের লম্বায়ন ক্ষমতা দেহের চাপনিয়ন্ত্রণের জন্য
আবশ্যক যা স্বাধীনভাবে কাপড়ের স্থিতিস্থাপকতা ও স্থিতিস্থাপক পরিবর্তনের রোধ করার
ক্ষমতার উপড় নির্ভর করে ।
যদি ফেব্রিকের প্রসারণ রোধ করার ক্ষমতা কম হয় আর কাপড় চামড়ার সাথে বেশি ঘর্ষণক্ষম হয় তাহলে পোশাকটি চামড়ার সাথে
প্রসারিত না হতে পেরে অস্বস্তিকর অনুভুতির সৃষ্টি করবে ।
অভিনয়,মডেলিং এর জন্য জটিল নকশার সাথে ভাল আরামদায়ক পোশাক
তৈরি করার জন্য উপড়ের বিষয়গুলোর সঠিক বিবেচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এছাড়া আধুনিক টেইলারিং এ এমন ভাবে পোশাক তৈরি
করা হয় যা পরলে মোটা ও চিকণ দুইজন পৃথক বাক্তি কে একই রকম স্বাস্থের অধিকারী বলে
মনে হয় , অনেক মোটা ব্যাক্তিকেও সুঠান দেহের মনে হবে ।
পোশাকের ফিটিং,পিচ্ছিলতা ও লম্বায়ন ক্ষমতা সঠিক পর্যায়ে
রাখার জন্য মানুষের দেহের কিছু অংশকে বিবেচনা করা হয়েছে যেগুলো অপেক্ষাকৃত বেশি
পরিমানে প্রসারিত হয় যেমন হাটু,পিঠ ও কনুই ।
এসব অংশের প্রসারণ বের করতে চামড়ার উপড় পরিবর্তনশীল
অবস্থার ভিত্তিতে নিয়মিত বিরতিতে কিছু রেখা অংকন করতে হয় যেগুলোর উপড় বিবেচনা করে
বোঝা সম্ভব হয় কোন অংশ কখন কতটা প্রসারিত হয় ।
দেহের সঞ্চালন ( %) হিসেবে চামড়ার লম্বায়ন
অংশ অনুভূমিক লম্বভাবে
পুরুষ মহিলা
পুরুষ মহিলা
হাঁটু (দাঁড়ান অবস্থা থেকে- বসলে) ২১% ১৯%
৪১% ৪৩%
কনুই (সোজা অবস্থা থেকে-
বাকালে) ২৪%
২৫% ৫০% ৫১%
পিঠ (সোজা অবস্থা থেকে -
সামনে ৩৩%
৩১%
হাত প্রসারিত
করে দাঁড়ালে)
(সোজা
অবস্থা থেকে – ২৮% ২৮%
টেবিলে হাত
রেখে দাঁড়ালে)
(সোজা অবস্থা
থেকে – ১৬% ১৬%
কনুই
ভাজ করলে)
(সোজা অবস্থা
থেকে – ৪৭% ৪৭%
জুতা
পরার মুহূর্তে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন