কোন পোশাক রপ্তানি অর্ডার কার্যকর করার কাজে প্রধানের
ভূমিকায় থাকেন গার্মেন্টস মার্চেন্টাইজার তথা তার টিম। অর্ডার গ্রহণ থেকে শুরু করে
শিপমেন্ট করা পর্যন্ত কাজের পুরোধায় থাকেন তিনি।
উৎপাদনে যাওয়ার আগে, গার্মেন্টস মার্চেন্টাইজার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন যেমন
@ ক্রেতা থেকে পাওয়া টেক প্যাক বিশ্লেষণ করা।
@ প্রয়োজন মত স্টাইলের ডেভেলপমেন্ট করা এবং স্যাম্পল তত্ত্বাবধান করে সময় মত
বাইয়ারের কাছে পাঠানো।
@ ফ্যাব্রিক এবং এক্সেসরিস এর খরচ যাচাই করা।
@ স্টাইলের
FOB মুল্য
নির্ধারন করা ।
(FOB - বোর্ডে ফ্রি (বা বোর্ডে মালবাহী)।
অর্থাৎ নিকটতম বন্দরে উৎপাদন কারীকে পণ্য পৌছে দিতে হবে। ক্রেতাকে সেখান থেকে
নিজের দেশ / ঠিকানাতে শিপিংয়ের জন্য যুক্ত অন্যান্য সমস্ত খরচ গুলি বহন করতে
হবে।)
@ বাইয়ারের সাথে কস্টিং নেগোসিয়েশন করে পরিমিত লাভ্যাংস হাতে রেখে অর্ডার
নিশ্চিত করা ।
@ সাপ্লাইয়ার বিবেচনা করে সঠিক সময়ে ফ্যাব্রিক এবং এক্সেসরিস বুকিং নিশ্চিত কর।
@ পন্য টি বাইয়ারের কাঙ্ক্ষিত টেস্ট রিকুয়ারমেন্ট ফিল আপ করে কিনা সেটি যাচাই
করা।
@ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফ্যাব্রিক এবং এক্সেসরিস ইন-হাউস করা।
@ প্রি প্রোডাকশন মিটিং এর মাধ্যমে প্রোডাকশন শুরু করতে অনুমোদন দেয়া।
1. ক্রেতা থেকে পাওয়া টেক প্যাক বিশ্লেষণ করা:
গার্মেন্টস এক্সপোর্ট অর্ডারের প্রথম পর্যায়ে, ক্রেতা স্যাম্পল চেয়ে
পোশাক বিক্রেতার কাছে টেক প্যাক পাঠান।
2. পণ্য উন্নয়ন:
প্রয়োজন মত স্টাইলের ডেভেলপমেন্ট করা এবং স্যাম্পল তত্ত্বাবধান করে সময় মত
বাইয়ারের কাছে পাঠানো।
টেক প্যাক অনুযায়ী, গার্মেন্টস মার্চেন্টাইজার নমুনা তত্ত্বাবধান করবেন । সাধারণত পণ্য উন্নয়ন নমুনার পরিমাণ 2-3pcs, যেখানে বাইয়ারের জন্য
1pc, এজেন্ট জন্য 1 pc এবং কাউন্টার হিসাবে পোশাক মার্চেন্টাইজার কাছে 1pc থাকবে।
3. বাইয়ারের থেকে পণ্যের অনুমোদন:
বাইয়ারকে পাঠানো স্যাম্পল যদি নিখুঁত হয় তবে বাইয়ার তা এপ্রোভ করে । তবে যদি
কোনও সংশোধন প্রয়োজন হয় তবে এটি আবার গার্মেন্টস মার্চেন্টাইজারকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। ক্রেতা নির্দেশাবলী মেনে পুনরায় আরেকটি স্যাম্পল তৈরি করে
অনুমোদনের জন্য বাইয়ারকে পাঠান।
4. ফ্যাব্রিক এবং আনুষাঙ্গিক খরচ:
এ পর্যায়ে, মার্চেন্ডাইজার কে টেক প্যাকের পরিমাপ অনুযায়ী কাপড় এবং এক্সেসরিজ এর পরিমাণ ও খরচ গণনা করতে হবে।
5. মুল্য নির্ধারন করা:
এটা কোন পোশাক রপ্তানি আদেশ পাওয়ার প্রধান মঞ্চ। ব্যবসায় মুনাফা সম্পূর্ণরূপে
এটির উপর নির্ভর করে। ক্রেতা নিয়ে আলোচনা করার পর, গার্মেন্টস
মার্চেন্ডাইজার এখানে অর্ডারের জন্য একটি নিখুঁত মূল্য সংশোধন করেন।
6. অর্ডার নিশ্চিতকরণ:
অবশেষে বাইয়ার মুল্য তে সম্মতি জ্ঞাপন করলে, এখানে অর্ডার নিশ্চিত হবে। এই
পর্যায়ে, ক্রেতা ও মার্চেন্ডাইজার পোশাক রপ্তানি আদেশ
সম্পর্কিত পরিমাণ, শিপিং তারিখ এবং অন্যান্য তথ্য
নিশ্চিত করে নেবেন।
7.
ফ্যাব্রিক এবং এক্সেসরিস বুকিং:
ফ্যাব্রিক এবং এক্সেসরিজ এর মুল্য অনুযায়ী, গার্মেন্টস মার্চেন্টাইজার প্রয়োজনীয়
আইটেম ক্রয়ের বুকিং চার্ট প্রস্তুত করেন।
8. ফ্যাব্রিক এবং এক্সেসরিস ইন-হাউজ করা:
শিডিউল সময়ের মধ্যে যেন ফ্যাব্রিক এবং এক্সেসরিস ইন-হাউস হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ফলো আপ
করেন মার্চেন্ডাইজার ।
9. উৎপাদন যাচ্ছে:
যখন উপরের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তখন রপ্তানি উৎপাদন শুরু করার জন্য
ফ্যাক্টরি কে নির্দেশ দেবেন।
তথ্যসুত্রঃ- http://www.garmentsmerchandising.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন