প্রযুক্তি
এবং ফ্যাশন মধ্যে সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায় পৌছে গেছে। প্রযুক্তির ছাড়া পোশাক
শিল্প সম্পুর্ন বিকল। মানুষের মনে দাগ
কাটতে প্রত্যেক পোশাক ব্র্যান্ড নতুন প্রযুক্তির ডিজাইন এবং উৎপাদন করতে সচেষ্ট।
পোশাক
শিল্পের প্রবৃদ্ধি প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন অপারেশনের জন্য প্রতিনিয়ন নতুন নতুন
বিশেষ যন্ত্রের ব্যাবহার বাড়ছে । খুচরো ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসাকে বৃহত্তর পরিসরে উন্নিত করতে
ইন্টারনেট ও মোবাইল প্রযুক্তি ব্যাবহার করছেন। প্রতিযোগিতামূলক বাজার মোকাবেলায়
খুচরো ব্যবসায়ীরা প্রযুক্তি ব্যাবহারে সবচেয়ে বেশি সচেতন । কারন বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের মনোযোগ বজায়
রাখতে প্রযুক্তির বিকল্প নেই।
কোন
ফ্যাশন অপরিবর্তনীয় নয়। পোশাকের খুচরা বিক্রির জন্য বিপণন কৌশলেও তাই প্রতিদিন নতুনত্ব আসছে। পোশাকের
খুচরো বিক্রিতে প্রযুক্তির ব্যাবহার ক্রয়কে করছে সহজতর। প্রযুক্তিগত যোগাযোগে
দ্রুততার আসায় গ্রাহক এবং ডিজাইনারদের মধ্যেও একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে উঠছে।
খুচরো
দোকানগুলিতে মডেল বা ডামির গায়ে আজকে যে পোশাক গুলি দেখতে পাওয়া যায় আগামীকাল সেগুলিই
ফ্যাশন প্রেমীদের পরনে পাওয়া যাবে, এই হল বর্তমান ফ্যাশনের দৃশ্যকল্পে। উচ্চস্তরের
এবং কর্মজীবি শ্রেনীর মানুষের মধ্যে মধ্যবিত্তরা ফ্যাশন পণ্যের দ্রুত ক্রেতা।
ইন্টারনেটের
ব্যবহারে,
ফ্যাশন অ্যাক্সেসকে বিশ্বের সব কোণ থেকে কার্যকর হয়েছে। গ্রাহকদের এবং
খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্কের মাধ্যম হিসাবে দাড়িয়েছে
ইন্টারনেট অ্যাক্টিভিটি । গ্রাহকরা অনলাইন স্টোর থেকে তাদের পছন্দ গুলোকে অর্ডার
করছে।
ফ্যাশন
ব্যবসার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ভূমিকা অসামান্য। প্রায় সব ব্র্যান্ডের গ্রাহকদের
সাথে সামাজিক মিডিয়ার সংযুক্তি রয়েছে । সামাজিক মিডিয়ায় গ্রাহকের রিএকশন পর্যালোচনা
করে কোন ডিজাইনের ফিড ব্যাক যাচাই করা সহজ ও নিখুঁত। কোম্পানির ব্র্যান্ড নেম কে সুপরিচিত করতে
সামাজিক মিডিয়ার সাহায্য নেয়া হয়। কারন পোশাক ব্যবসার জন্য প্রচার খুব গুরুত্বপূর্ণ দিক।
পুর্বে, ট্রেন্ড পূর্বাভাসের প্রতিবেদন তৈরি করতে সারা বিশ্ব ভ্রমণ
করতে হত। যার জন্য এক মাসের বেশি সময় লাগত। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে, তথ্য সংগ্রহ করতে মাত্র কিছু মুহুর্তের প্রয়োজন হচ্ছে। যা
খুব সহজেই খুচরা বিক্রেতা এবং ডিজাইনারদের কাছে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন