ফেডেরাল
ট্রেড কমিশনের সংজ্ঞা অনুযায়ী
"নাইলন রাসায়নিকভাবে পলিঅ্যামাইড প্রকরণের ফাইবার। অ্যামাইডের রাসায়নিক সংকেত (-CO-NH-) । এর পলিমারাইজেশন করে পলি অ্যামাইড গঠিত হয়, যাকে নাইলন বলে। পলি অ্যামাইডের লম্বা চেইন একটি সিনথেটিক পলিমার যার মধ্যে কমপক্ষে ৮৫% অ্যামাইড লিংকেজ সরাসরি দুটি
অ্যারোমেটিক রিং দ্বারা যুক্ত থাকে ।"
গাঠনিক
প্রকৃতিতে নাইল একটি সরল রেখাকৃতির
পলিমার । নাইলন ৬.৬ পলিমার এ একটি রৈখিক জিগজাগ আকৃতির কার্বন অনু থাকে । কার্বন তার
চারটি যোজনী দ্বারা চারটি সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ থাকে এবং ত্রিমাত্রিক পিরামিডি
আকৃতি ধারণ করে ।
নাইলন বেশ শক্তিশালী,স্থিতিস্থাপক ও উজ্জল। এতে যেকোন রঙ প্রয়োগ করা যায়,খুব বেশি পানি ধারণ করে না,ওজোনে হালকা কিন্তু শরীরের তাপ ধারণ করতে সক্ষম ।
নাইলন
তৈরির কাঁচামাল
মূলত
দুটি
১)হেক্সামিথিলিন ডাই অ্যামিন ও
২)এডিপিক এসিড
নাইলন ৬.৬ তৈরির বিক্রিয়া |
এডিপিক এসিড :- এডিপিক একটি অরগ্যানিক এসিড, শিল্পের একটি অতীভ প্রয়োজনীয় ডি কার্বোক্সিলিক এসিড। ডি কার্বোক্সিলিক এসিড বলতে বোঝায় এমন যৌগ যার কার্বন অনুর উভয় পাশে কার্বোক্সিল মূলক বিদ্যমান থাকে। বিভিন্ন কাজে বছরে প্রায় ২.৫ বিলিয়ন কেজি এডিপিক এসিডের পাউডার উৎপাদন করা হয়ে থাকে, যার বেশিরভাগ নাইলন ফাইবার তৈরির কাজে ব্যাবহৃত হয় ।
হেক্সামিথিলিন ডাই অ্যামিন :- অরগ্যানিক
ডাই অ্যামিনে কার্বন অনুর দু পাশে
অ্যামিন মূলক থাকে ।ডিউ পন্ট কোম্পানীর রসায়নবিদ ডঃ এইচ কারোথারস নাইলনের
আবিষ্কারক ।
১৯২৮
সাল
থেকে গবেষণা শুরু করে দীর্ঘ
৮ বছরের
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৯৩৫ সালে নাইলন ৬.৬ পলিমার তৈরিতে সক্ষম হন। এ পলিমার মিশ্রিত রাসায়নিক পদার্থের প্রতিটি অনুতে ৬টি
কার্বনের পরমানু থাকে
বলে এর নাইলনকে ৬.৬ নামকরন করা হয়েছিল ।একসময় হোসীয়ারী ইয়ার্ন হিসাবে নাইলনের তৈরি পোশাকের
কদর বেড়ে যায় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন