বর্তমানে বাংলাদেশের
বেকারত্ব সমস্যা নিরশনে কার্যকরী ভুমিকা পালন করছে টেক্সটাইল বাইং হাউজ
গুলো। বিনিয়োগকারীরাও সহজে লাভের আশায় বাইং হাউজে অর্থ লগ্নী করছেন,প্রতিনয়ত ঢাকার আনাচে
কানাচে বাইং হাউজ গড়ে উঠছে।
তবে বাইং হাউজকে লাভজনক
প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে হলে তার পেছনে অবশ্যই কিছু মাস্টার প্ল্যান থাকতে
হবে।একজন দক্ষ পরিচালক নিয়োগ করতে হবে যার এ বিষয়ে থাকবে অগাত জ্ঞান। আজকের পোস্ট এ থাকছে একটি বাইং হাউজ এবং মার্চেন্টাইজারের ভুমিকা সম্পর্কে খুঁটিনাটি আলোচনা ।আশা করি সবাই উপকৃত হবেন
Merchandise শব্দটি এসেছে
মার্চেন্ট শব্দ থেকে যার অর্থ বিক্রেতা বা খুচরা বিক্রেতা। স্বভাবতই বিক্রয়
সম্বন্ধীয় অর্থ বহন করতেই মার্চেন্টাইজিং শব্দটি ব্যাবহৃত হয়।
ফ্যাশন মার্চেন্টাইজিং এর
মূল বিষয় হল চাহিদা মোতাবেক ফ্যাশন পণ্য ক্রেতার নিকট উপস্থাপন করা।
পূর্বে ফ্যাশন
মারচেন্টাইজিং শব্দটি শুধুমাত্র মহিলাদের পোশাক বোঝাতে ব্যাবহার হলেও বর্তমানে এটি
দ্বারা সবধরনের পোশাকের জন্য একটি অগ্রসরমান ব্যাবসায়ী নীতি বা পন্থাকে বোঝানো হয়।মার্চেন্টইজিং এর কাজ পরিচালনার জন্য একটি সুপরিকল্পিত প্রতিষ্ঠান গঠন করা আবশ্যক।যাকে
বাইং হাউজ বলে।বাইং হাউজের কাজ মুলত দুটি কাঠামোর উপড় ভিত্তি করে চলে এক) বিক্রয় শাখা দুই)
মজুদ শাখা
বিক্রয় শাখা পণ্যের
বিক্রয় ও বিপণনের ব্যাবস্থা করে থাকে অপরদিকে মজুদ শাখার কাজ ক্রেতা সাধারণের সাথে
যোগাযোগ রক্ষা করা এবং তাদের রুচিকে বিশ্লেষণ করে কি বা কি রকমের পন্য উৎপাদন করতে
হবে তার নির্দেশনা প্রদান করা ।মজুদ শাখা পর্দার আড়ালে কাজ করে আর বিক্রয়
শাখা প্রতিষ্ঠানের সাথে বাইরের পরিবেশের যোগাযোগ বজায় রাখে।
মজুদ শাখা উৎপাদন ফার্ম হতে
পণ্য গ্রহণ করে এবং এ কাজে সম্পৃক্ত কর্মচারীদের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি করে,প্রয়োজনে তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করে।এছাড়া প্রতিষ্ঠান
অফিসের জন্য জায়গা ঠিক করা এবং মজুদকৃত পণ্যের নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা ইত্যাদি।
উপর্যুপরি তারা বিক্রয়ের পরিমান বৃদ্ধিতে মার্চেন্টাইজ ম্যানেজারের সাথে কাজ
করে।একজন পরিচালক থাকবেন প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে যিনি একই সাথে যেকোন সিদ্ধান্ত
গ্রহনের মালিক এবং কর্মচারীদের বেতন ভাতার হিসাবকর্তা।পণ্যের বৈচিত্র্যতার
ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটিকে ভিন্ন ভিন্ন ডিপার্টমেন্টে ভাগ করা হয় , সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজার ও সহযোগীরা সেটি পরিচালনা করবেন
এবং ম্যানেজমেন্টের সাথে বাইয়ারের তথ্য আদান প্রদানের পথ সুগম করবেন।
এবার আসি বিক্রয় শাখার দিকে,
কোন বাইং হাউজের
বিক্রয় শাখার ম্যানেজার ও বাইয়াররা অবশ্যই কিছু মূলনীতি ও অন্যান্য কার্যক্রমের
পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন।যাতে করে বাইং হাউজটি ভোক্তাদের আকাঙ্ক্ষা পুরনের সক্ষমতা
অর্জন করে।
বাইং লাইনেরও বিভিন্ন
ডিপার্টমেন্ট থাকবে ,
ডিপার্টমেন্ট গুলো লাইফ স্টাইল,স্টাইলিং,মূল্যের সীমা ও ক্যাটাগরি অনুযায়ী গঠিত হবে যার মধ্যে থাকবে সাধারণ
জীবন জীবিকা ও বিশেষ বিশেষ দিন গুলোর জন্য বিশেষ ফ্যাশন সমৃদ্ধ পোশাকের ক্যাটাগরি ।অবশ্যই একজন পরিচালক থাকবেন যিনি মার্কেটিং পলিসি ও বিক্রয় সংক্রান্ত
বিষয় কাজের মধ্যে সঙ্ঘবদ্ধতা তৈরি করবেন।তিনিই ঠিক করে দেবেন
মার্চেন্টাইজারদের কাজের লক্ষ্য ও নির্দেশনা যেমন কোন কোন বিষয়কে কিভাবে ও কতটা
গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করতে হবে।এছাড়াও তাকে
নিয়মিত বিশ্বের ফ্যাশনে উন্নত দেশগুলোতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রদর্শনীতে যেতে হবে কারন
প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পরিচালককে ফ্যাশন বিষয়ে অগাত জ্ঞানের অধিকারী
হতে হবে যার জন্য নতুন নতুন ফ্যাশনের পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
মার্চেন্টাইজিং
পরিকল্পনাঃ প্রত্যেক মার্চেন্টাইজিং ফার্মের কিছু ইউনিক পরিকল্পনা থাকতে
হবে।বিশেষত ব্যায় ভারের পরিকল্পনা।বছরের ১২ মাস পোশাকের চাহিদা সমান থাকে না।তাই
বছরের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে জন্য অর্থ ব্যায়ের হারে পরিবর্তন আনতে হবে।এ লক্ষে বছরকে
দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে একটি স্প্রিং সিজন আরেকটি ফল সিজন।স্প্রিং সিজন শুরু হয়
ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ,ফল সিজন আগস্ট থেকে
জানুয়ারি পর্যন্ত।পরিকল্পনা গুলো কম্পিউটারের স্প্রেডশিডে সঞ্চিত থাকবে যেখানে
মাসভিত্তিক বিক্রয় ও লাভের লক্ষ্যের পরিমাণও লিপিবদ্ধ থাকে
মার্চেন্টন্টাইজিং
পরিকল্পনায় দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার একটা বিশাল প্রভাব থাকে।যে বছর দেশের
রিজার্ভে বেশি পরিমান অর্থ থাকে সে বছর মানুষের তার প্রয়োজনের অধিক পণ্য ক্রয় করার
মানুষিকতা সৃষ্টি তাই ব্যাবসার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।আবার কখনও কখনও কোন দেশে অভিবাসন
গ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেলে তা দেশটির সামগ্রিক পোশাকের রুচির উপড় প্রভাব
ফেলতে পারে।
গ্রীস্ম ঋতুতে ছুটি কাটানোর
সময়ে সুইমস্যুইট জাতীয় পোশাকের চাহিদা বেড়ে যায়
আবার শিতের শুরুতে হালকা
ব্লেজারের চাহিদা বৃদ্ধি।
তারপর বিশেষ বিশেষ
দিনগুলোতে যেমন সাপ্তাহিক ছুটির দিন,ইদ,পুজা,ক্রিস্টমাস,পহেলা বৈশাখ
উন্নত দেশগুলোতে থ্যাংস
গিভিং ডে,ফাদার ডে,মাদার ডে, ভালেন্টাইন
ডে,ফ্রেন্ডশিপ ডে,ইস্টার সানডে
ইত্যাদি দিন গুলোতেও পোশাকের চাহিদা বেড়ে যায়।
Very informative article. The students who want to be a merchandiser should go through this article.
উত্তরমুছুন