কাঁচামাল সংগ্রহ
থেকে শুরু করে কাপড় তৈরি করে তাকে উপযুক্ত ফিনিশিং ও প্যাকিং সম্পন্ন করে ক্রেতার
নিকট উপস্থাপন করাকে টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারিং বলে। টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারিং বিশেষ প্রধান কয়েকটি ধাপে সংগঠিত হয়। ধাপ গুলো
হলঃ-
ইয়ার্ণ ম্যানুফ্যাকচারিং
ফেব্রিক
ম্যানুফ্যাকচারিং
ওয়েট
প্রোসেসিং এবং
গার্মেন্টস
ম্যানুফ্যাকচারিং
কাঁচামাল
কে সম্পূর্ণরূপে তৈরি পোশাকে পরিনত করতে কাঁচামালকে উল্লিখিত ধাপ গুলোর মধ্য দিয়ে
যেতে হয় । ইয়ার্ণ ম্যানুফ্যাকচারিং এর মাধ্যমে
আমরা বিভিন্ন কাঁচামালের বেল থেকে ইয়ার্ণ লাভ করি
তারপর ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং
ধাপে সেই ইয়ার্ণকে ফেব্রিকে পরিনত করি।এর পরের ধাপ ওয়েট প্রোসেসিংএ ফেব্রিক কে
বিভিন্ন কেমিক্যাল যেমনঃ-তেল,ফ্যাট,মোম,এল্কালি,এঞ্জাইম,বিভিন্ন এজেন্ট ও রঙের
সাহায্যে ফেব্রিককে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণভাবে পরিবর্তিত করে এবং বৈশিষ্টময় রঙ প্রদান করে তাকে ব্যাবহারযোগ্য করে তোলা হয় ।
সর্বশেষ
ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং।এই ধাপটি ক্রেতার রুচি ও স্টাইলের সাথে সম্পর্কিত ।জনসাধারনের
পছন্দ ও রুচি বিশ্লেষণ করে সে অনুযায়ী স্টাইল ও নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে
নির্দিষ্ট মানের প্রোডাক্ট তৈরি করা এবং প্রোডাক্টটিকে ক্রেতার নিকট সুন্দরভাবে
উপস্থাপন করা এসব মিলিয়ে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং বলা
হয়।আরও বিশদভাবে বললে সর্বপ্রথম একটি ডিজাইন বা স্কেচ তৈরি করা হয় তারপর সে
অনুযায়ী ফেব্রিক কে কেটে,সেলাই করে পোশাকে পরিনত করা হয়।অবশ্যই সেলাই গার্মেন্টস
ম্যানুফাকচারিং এর বড় অংশ।
শেলাই করা বলতে আমরা বুঝি সুচ ও সুতার সাহায্যে ফেব্রিকগুলোকে জোড়া লাগানকে।সুচ সুতা ছাড়াও অন্যভাবে ফেব্রিকের জোড়া লাগানোর কাজ করা যায় কিন্তু সেলাই করাই সবচেয়ে সহজ,সর্বোৎকৃষ্ট ও সবচেয়ে বেশি ব্যাবহৃত পদ্ধতি।পোশাক শিল্পে শেলাই করার জন্য সুচ ও সুতাকে শেলাই ম্যাশিনের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।তাই গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের সুতা,সেলাই করার পদ্ধতি,শেলাই ম্যাশিন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।
শেলাই করা বলতে আমরা বুঝি সুচ ও সুতার সাহায্যে ফেব্রিকগুলোকে জোড়া লাগানকে।সুচ সুতা ছাড়াও অন্যভাবে ফেব্রিকের জোড়া লাগানোর কাজ করা যায় কিন্তু সেলাই করাই সবচেয়ে সহজ,সর্বোৎকৃষ্ট ও সবচেয়ে বেশি ব্যাবহৃত পদ্ধতি।পোশাক শিল্পে শেলাই করার জন্য সুচ ও সুতাকে শেলাই ম্যাশিনের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।তাই গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের সুতা,সেলাই করার পদ্ধতি,শেলাই ম্যাশিন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।
যে
রেখা বরাবর একাধিক ফেব্রিককে সেলাই করে জোড়া লাগানো হয় তাকে ছিম বলে।ছিমের চেহারা
ও গুনাগুন তৈরি পোশাকের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট।সুতার বৈশিষ্টের সাথে
ছিমের চেহারা ও গুণাবলী সরাসরিভাবে জরিত।
কেননা একটি পোশাক তৈরির জন্য যে প্রকারের সুতা ব্যাবহার করা হবে তার উপড় পোশাকের মান ও সৌন্দর্য নির্ভর করে।সুতার খরচ খুব কম হলেও ছিমের ভাল বৈশিষ্টের জন্য অর্ধেক কর্তিত্ব শুধুই সুতার। বিভিন্ন প্রকারের সুতা রয়েছে তার মধ্যে ফেব্রিকের ধরণ বিবেচনা করে উপযুক্ত সুতাটি বেছে নেয়া হয়।
কেননা একটি পোশাক তৈরির জন্য যে প্রকারের সুতা ব্যাবহার করা হবে তার উপড় পোশাকের মান ও সৌন্দর্য নির্ভর করে।সুতার খরচ খুব কম হলেও ছিমের ভাল বৈশিষ্টের জন্য অর্ধেক কর্তিত্ব শুধুই সুতার। বিভিন্ন প্রকারের সুতা রয়েছে তার মধ্যে ফেব্রিকের ধরণ বিবেচনা করে উপযুক্ত সুতাটি বেছে নেয়া হয়।
বিভিন্ন
দিক দিয়ে সেলাই সুতার শ্রেণীবিন্যাস করা যায়।প্রথমেই আসা যাক সুতার উৎস ও প্রকৃতি।
প্রাকৃতিক অথবা কৃত্তিম ভিন্ন ভিন্ন উৎস থেকে সুতা সংগৃহীত হতে
পারে ।প্রাকৃতিক সুতার শক্তি ও স্থায়িত্ব তুলনামূলক কম অন্যদিকে কৃত্তিম সুতার
স্থায়িত্ব ও আদ্রতা সহ্য করার ক্ষমতা প্রাকৃতিক সুতার তুলনায় অনেক বেশি।আসুন দেখা
যাক কতরকমের সুতা সেলাইয়ের কাজে ব্যাবহৃত হতে পারে
লিনেন সুতাঃঅনেক প্রাচীনকাল থেকে শেলাইয়ে লিনেন সুতার ব্যাবহার হয়ে আসছে।এক সময় প্রচুর পরিমাণে ব্যাবহৃত হলেও বর্তমানে পলিয়েস্টার সুতার সর্বগ্রাসী প্রভাবে লিনেন সুতার ব্যাবহার প্রায় হয় না বললেই চলে।
সিল্কের
সুতাঃসিল্কের সুতা বেশ শক্তিশালি,সম্প্রসারনশীল ও চাকচিক্যপূর্ণ।সিল্ক সাধারণত
কন্টিনিউয়াস ফিলামেন্ট হয় তবে ব্রোকেন ফিলামেন্টও হতে পারে।দুই প্রকৃতির ফিলামেন্ট
থেকেই সুতা প্রস্তুত করা যায়।সিল্কের সুতা ব্যায়বহুল হওয়ায় এর ব্যাবহার সীমিত।
তুলা
নির্মিত সুতাঃইয়ারনের মতই সুতার ক্ষেত্রেও তুলা সবচেয়ে বেশি ব্যাবহৃত প্রাকৃতিক
ফাইবার।তবে সুতায় অবশ্যই ১০০% তুলার নির্মিত হয়।
ভিসকস
সুতাঃভিসকস সুতা তৈরি হয় কন্টিনিউয়াস ফিলামেন্ট বা স্টাপল ফাইবার থেকে যাদের
রিনেরেটেড সেলুলোজ পলিমার থেকে পাওয়া যায় ।এদের শক্তি ও স্থায়িত্ব তুলনামূলক কম
হলেও চাকচিক্যের জন্য অ্যাম্রডারিতে ভিসকস সুতা বেশি ব্যাবহৃত হয়।
পলিয়েস্টার
সুতাঃপলিয়েস্টার ফাইবার থেকে এ সুতা প্রস্তুত করা হয়।বেশ শক্তিশালী ও প্রয়োজনমত
প্রসারিত হতে পারে।এছাড়া এটি খুব সস্তা ,রঙ ধরে রাখার ক্ষমতাও অনেক বেশি,তাই
ব্যাবহারেরও অন্য সব সুতা থেকে পলিয়েস্টার এগিয়ে।
নাইলন
সুতাঃনাইলনের সম্প্রসারনশীলতা অনেক বেশি হওয়ার কারণে কাপড় সেলাইয়ে এর ব্যাবহার
খুবই কম।কারন সম্প্রসারনশীল সুতা ব্যাবহার করলে সেলাইয়ের পরে যখন সুতা সংকুচিত হবে
তখন ছিমের জায়গাটিও সঙ্কুচিত হতে শুরু করবে যাতে তৈরি পোশাকের বিভিন্ন অংশ কুচকে
গিয়ে সৌন্দর্য নস্ট হবে।
এরামাইড
সুতাঃএ জাতীয় সুতা খুব ব্যায়বহুল ।শুধুমাত্র বিশেষ বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত
হয় যেমন আগুণ প্রতিরোধী পোশাক তৈরিতে।
PTFE
সুতাঃপ্রতিকুল পরিবেশে আত্মরক্ষার জন্য তৈরি বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন পোশাক যেমন যেসব
পোশাক কোন শিখার সামনে বিগলিত হয় না এবং ক্ষতিকর কেমিক্যালের প্রতিক্রিয়া সহ্য
করতে পারে এমন সব পোশাক তৈরিতে PTFE সুতার ব্যাবহার হয়ে থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন