ইন্ডাস্ট্রির ফিনিশিং সেকশনের একটি ছবি |
ফেব্রিক তৈরির পর থেকে নির্দিষ্ট পোশাকে পরিনত
করে মার্কেট এ প্রেরণের মধ্যবর্তী যে যে পদ্ধতির মধ্য দিয়ে ফেব্রিক কে যেতে হয়
তাদের ফিনিশিং বলে।অর্থাৎ যে সব বিশেষ পদ্ধতির সাহায্যে ফেব্রিক কে ক্রেতার নিকট
উপস্থাপনযোগ্য করা হয় এবং প্রয়োজন মত গুণাবলী দান করা হয় তাকেই ফিনিশিং বলে।
ফিনিশিং শব্দটি দ্বারা এক
গুচ্ছ
প্রক্রিয়াকরণকে বোঝানো হয় যেগুলোর সাহায্যে ডাইং ও প্রিন্টিং এর পর প্রাপ্ত
ফেব্রিককে মার্কেটে প্রেরনের যোগ্য করে তোলা হয়।তাই ফিনিশিং এর পর ফেব্রিকের কিছু উল্লেখযোগ্য বাহ্যিক ও
রাসায়নিক পরিবর্তন সাধিত হয়।
বাহ্যিক পরিবর্তন গুলো সংক্ষেপে-
ক্যালেন্ডারিং:- এটি সম্পূর্ণরূপে একটি যান্ত্রিক
পদ্ধতি যাতে ফেব্রিক কে কিছু ভাড়ী রোলারের মধ্য দিয়ে চালনা করা হয়।ভিন্ন ভিন্ন
পরিমাণের তাপ,চাপ ও রোলারের আকার নির্ধারণ করে সমন্বয় সাধন করে পোশাকের কিছু উল্লেখযোগ্য
পরিবর্তন আনা হয়।ক্যালেন্ডারিং করে পোশাকের চাকচিক্য বৃদ্ধি করা যায়,তাতে ওয়াটার
মার্ক ডিজাইন সৃষ্টি করা যায় ।সাধারণত সিনথেটিক ফেব্রিকেই ক্যালেন্ডারিং দেয়া
হয়,কেননা প্রাকৃতিক ফেব্রিক ক্যালেন্ডারিং এর প্রভাব স্থায়ীভাবে ধরে রাখতে পারে
না।
সানফোফোর্যিং ম্যাশিন |
হিট সেটিং:- পলিএস্টার এর মত থার্মোপ্লাস্টিক ক্রিত্তিম ফাইবারে হিট সেটিং করা হয়।হিট সেটিং এর উদ্দেশ্য তৈরি পোশাকে একধরণের স্থায়িত্ব দান করা যাতে তৈরির পর ব্যাবহারের সময় তাতে আর নতুন করে কোন ভাজ বা অন্য কোন পরিবর্তন না আসে।এর জন্য ফেব্রিক কে তার গলনাঙ্কের সামান্য নিচের তাপমাত্রায় নিয়ে উত্তাপ দান করা হয়।হিট সেটিং করা থাকলে পোশাকের আকার আকৃতি ঠিক থাকে এবং স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে।
ন্যাপিং:- ঘূর্ণায়মান ড্রামের সাথে লাগান সূচের সাহায্যে ফেব্রিকের উপরিতলের ন্যাপিং করা হয়। ন্যাপিং করে ফেব্রিক তল কে আরও নরম ও পশমি করে তোলা যায়।
শেয়ারিং:- শেয়ারিং করে ফেব্রিক তলকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের পাইল(pile) রাখা হয়।ফেব্রিক তলের উপড় বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা ভাসমান ফাইবার গুলোকে সরিয়ে দিয়ে মসৃণ তল নিশ্চিত করে।
স্যান্ডিং:- অথবা সুএডিং, রোলার দ্বারা কোটিং করা পাতলা গ্রিট স্যান্ড পেপার দিয়ে
ঘষে ফেব্রিক তল কে মসৃণ করা হয়।
শ্রিংক কন্ট্রোল:- একে ও বলা হয়।এটি একটি সু-নিয়ন্ত্রিত ফেব্রিক সংকোচন প্রক্রিয়া। পোশাক তৈরি হবার পর বিশেষ পদ্ধতিতে তাকে সঙ্কুচিত করে এই ট্রিটমেন্ট দেয়া হয়।পোশাকের শ্রিংক কন্ট্রোল করা থাকলে ব্যাবহারের পর যখন ধৌত করা হবে তখন পোশাকে কোন সঙ্কোচনের সৃষ্টি হবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন