মানুষের মৌলিক চাহিদায়
অন্নের পরেই আসে বস্ত্র।স্বাভাবিকভাবেই মানব ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকে পোশাক পরিধান
শুরু হয়েছিল।প্রথম দিকে পোশাক পরিধানের উদ্দেশ্য ছিল শুধুই লজ্জা নিবারন ও ঠাণ্ডা থেকে বাঁচা। কিন্তু সময় স্রোতের সাথে তাল রেখে মানুষের বুদ্ধি ক্ষমতা যেমন বেড়েছে,তার সাথে বেড়েছে তাদের
চাহিদার বিচিত্রতা।তাই পোশাক এখন আর শুধু নির্দিষ্ট কিছু প্রয়োজনে মেটাতে সীমাবদ্ধ
নেই, তা হয়ে উঠেছে রুচিশীলতা,নকশা
ও দক্ষতার প্রতীক।
মানব দেহের মাথা থেকে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত প্রায় সব অঙ্গে
পরিধানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির পোশাক তৈরি হচ্ছে।যতই দিন যাচ্ছে আরও নতুন
ধরণের পোশাক আবিষ্কার হচ্ছে।
এই কথার সাথে তাল রেখেই
বলতে হয়
মহিলাদের অন্তর্বাস,পুরুষ ও বাচ্চাদের
আন্ডারওয়্যার ,ঘুমানোর পোশাক সহ সব হুসিয়ারি জাতীয় পোশাকসমূহের ব্যাবহার বহুকাল আগে থেকেই মানুষ করে আসছে।প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান
কালের মধ্যে পার্থক্য হল এই যে পূর্বের মানুষেরা এসমস্ত পোশাক ব্যাবহার করলেও
অনেকটা গোপনে,লুকিয়ে এর ক্রয়-বিক্রয় ও প্রদর্শন করত,
একারনে এসব পোশাকে কোন ফ্যাশনের ছোঁয়া লাগতো না কিন্তু এখন
মানুষের রুচি ও দৃষ্টিভঙ্গিতে আকাশ পাতাল পরিবর্তন এসেছে। দোকানে এসব পোশাকের
চাহিদা ও প্রদর্শনী বেড়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে এগুলোতেও অনেক বেশি ফ্যাশনের ছোঁয়া
লাগতে শুরু করছে।
মহিলাদের অন্তর্বাসের
মধ্যে রয়েছে ব্রা,প্যান্টি,শেপওয়্যার,ক্যামিশলস(মহিলাদের
ঊর্ধ্বাঙ্গে পরিধানের জন্য ঢিলা ও হাতকাটা জামা),দীর্ঘসময়
পরিধান উপযোগী পোশাক যাকে লিঙ্গেরিক বলা হয়,পিচ্ছিল পোশাক
ও ঘুমানোর পোশাক,শুধু পায়ের অংশে পরিধানের পোশাক
ইত্যাদি।পূর্বের এই গোপনে বিক্রি করা পোশাকেই এখন ধীরে ধীরে স্বতন্ত্র
বৈশিষ্ট পেতে শুরু করেছে,বিখ্যাত ডিজাইনার ও উৎপাদক
প্রতিষ্ঠান এ পোশাকে আত্মনিয়োগ বাড়াচ্ছেন।তাছাড়া এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি
পরিমাণে এসমস্ত পোশাকের ফ্যাশন শো ও ফটোশুট হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে এ পোশাকের মান
উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবার আত্মনিয়োগ বেড়েছে এবং আরও বাড়বে আশা করা যায়।
ক্যামিশল(Camishiols) |
বাজারজাতকরনঃ
অন্যান্য পোশাকের মতই
অন্তর্বাসের বাজারজাতকরণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের তালিকায় সবার উপড়ে স্থান
পাচ্ছে তার একটি ব্র্যান্ড নাম,তারপর আসছে যথাক্রমে আনুসাঙ্গিক স্টাইল,রং,ফেব্রিক,টেকচুয়ার
ও ডিজাইনারের নাম ইত্যাদি ।ডিজাইনার দের লক্ষ্য থাকে বাজারে থাকা কোন জনপ্রিয়
পোশাকের সাথে সমন্বয় রেখে অন্তর্বাস তৈরি করা।যাতে সে বাইরের পোশাকের নিচে সহজেই
অন্তর্বাসটি ফিট হয়।এছাড়া নাইটক্লাব পার্টি ও ফোটশুটের কথা মাথায় রেখেও অনেক
অন্তর্বাস তৈরি হয়ে থাকে যেগুলো যতটা না আরামদায়ক তার চেয়ে বেশি আকর্ষণীয়।
এ পোশাকের মার্কেটটি বিভক্ত হয়ে থাকে বয়স, বিক্রেতার,উৎপাদক,মার্চেন্টাইজার ও বাজার ব্যাবস্থার ধরণের উপড়। যেহেতু আগের তুলনায় এ পোশাকের অনেক বেশি প্রদর্শনী হচ্ছে,তাই পোশাকটি খুব ছোট মাপের হলেও তাতে মূল্য,কালার
কোড,সাইজ কোড যুক্ত করা হচ্ছে।এতে ক্রেতা তার পছন্দ
অনুযায়ী ঠিক ঠাক অন্তর্বাসটি বেঁছে নিতে সক্ষম হচ্ছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন