বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কিছু ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটঃ-১ (Some Historical Background About Bangladesh RMG-01) ...... এর পরে
১৯৯৫ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের টেক্সটাইল এ্যান্ড ক্লথিং এগ্রিমেন্ট(ATC) চুক্তি বাংলাদেশকে আমেরিকা,কানাডা ও ইউরোপিয়ান দেশের বাজার ধরতে আরও সহায়তা করে ।
১৯৯৫ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের টেক্সটাইল এ্যান্ড ক্লথিং এগ্রিমেন্ট(ATC) চুক্তি বাংলাদেশকে আমেরিকা,কানাডা ও ইউরোপিয়ান দেশের বাজার ধরতে আরও সহায়তা করে ।
রপ্তানি বাজার
|
ইউ
এস এ (টেক্সটাইল)
|
ইউ
এসএ
(ক্লথিং)
|
ইউরোপিয়ান
ইউনিয়নে(টেক্সটাইল)
|
ইউরোপিয়ান
ইউনিয়নে(ক্লথিং)
|
১৯৯৫ সালে
|
||||
বাংলাদেশের শেয়ার
|
>৩%
|
৪%
|
<৩%
|
৩%
|
২০০৪ সালে
|
||||
বাংলাদেশের শেয়ার
|
৩%
|
২%
|
৩%
|
৪%
|
উপড়ের টেবিলে (ATC) বলবৎ থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশের বাজারের যে পরিবর্তনকে দেখানো হয়েছে ।
বর্তমানে বাংলাদেশের ৯০% রপ্তানি হয় আমেরিকা ও ইউরোপের
দেশ । ওভেন শার্ট,টি- শার্ট, ট্রাওজার,সয়েটার ,জ্যাকেট বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য
।
তবে ২০০৫ সালে যখন মাল্টি ফাইবার এগ্রিমেন্ট (MFA) ও (ATC) এর একসাথে
অবলুপ্তি ঘটে তখন বাংলাদেশের গার্মেন্টস কিভাবে তার সামাল দেবে সেটা ছিল একটা
চিন্তার বিষয় । একটা বড় প্রশ্ন ছিল
চীনের মত বিখ্যাত কম মূল্যের পণ্যের দেশের সাথে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ কতটা সফল
হবে ?
কিন্তু ২০০৪
থেকে ২০০৭ এর মধ্যে বাংলাদেশের টেক্সটাইল আশ্চর্যজনক প্রবৃদ্ধির দেখা পায় । এবং
২০০৯ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা বাংলাদেশে তেমন কোন প্রভাবই ফেলতে পারে নি ।
যদিও একই সময়ে গ্রীস ও পর্তুগালের মত উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পরে ।
কোঁটার হ্রাস,দুর্বল অবকাঠামো,বিদ্যুৎ স্বল্পতা,আমদানি
নির্ভর কাচামাল,বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ইত্যাদি অনেকগুলো সমস্যাকে কাটিয়ে
বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের আজকের অবস্থানের মুলে যে কারণটিকে মুখ্য মনে করা হয়
তা হল বিশাল অদক্ষ জনশক্তি ও সস্তা শ্রম । বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকেরা
বিশ্বের অবহেলিত শ্রমিক সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রথম সারির । খুবই অল্প বেতনে এদেশের
শ্রমিকেরা কাজ করে বিধায় বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প আজকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে । একটি টি-শার্ট তৈরি করতে
অ্যামেরিকার খরচ হয় ৭.৪৭ ডলার । বাংলাদেশে মাত্র ০.২২ ডলারে একই টি-শার্ট তৈরি করা যায় ।
চীনে শ্রমের মূল্যের বৃদ্ধির কারনে টেক্সটাইল ব্যাবসায়
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি আরও সম্প্রসারিত হবে আশা করা হচ্চে । ২০০৬ সালে বাংলাদেশ
টেক্সটাইল বিশ্বে চীন,ই ইউ,হংকং, তুর্কী এবং ভারতের পেছনে ষষ্ট অবস্থানে ছিল,২০১১
সালে ৫ বছরের ব্যবধানে ২য় স্থানে উঠে আসে ।
২০১২-১৩ অর্থবছরে ব্যাবসার পরিমান ছিল ২৩ বিলিয়ন ডলার । ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ব্যাবসায়িক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান মেকেন্সির ভাষ্যমতে অ্যামেরিকা ও ইউরোপের ৮০% আমদানি নির্ভর পোশাক কোম্পানি চীনের পরিবর্তে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা কথা চিন্তা করছে । কারণ বাংলাদেশই সেই দেশ যেখানে বিশ্বে সবথেকে কম মূল্যে পোশাক পাওয়া যায় ।
তথ্যসুত্রঃ
http://www.investopedia.com/terms/m/multi-fiber-arrangement.asp
https://en.wikipedia.org/wiki/Bangladeshi_RMG_Sector
http://en.maquilasolidarity.org/issues/trade/MFA
http://rantoshak.blogspot.com/2012/05/impact-and-unforseen-implications-of.html
https://en.wikipedia.org/wiki/Multi_Fibre_Arrangement
https://www.wto.org/english/thewto_e/whatis_e/tif_e/agrm5_e.htm
https://www.wto.org/english/docs_e/legal_e/16-tex_e.htm
২০১২-১৩ অর্থবছরে ব্যাবসার পরিমান ছিল ২৩ বিলিয়ন ডলার । ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ব্যাবসায়িক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান মেকেন্সির ভাষ্যমতে অ্যামেরিকা ও ইউরোপের ৮০% আমদানি নির্ভর পোশাক কোম্পানি চীনের পরিবর্তে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা কথা চিন্তা করছে । কারণ বাংলাদেশই সেই দেশ যেখানে বিশ্বে সবথেকে কম মূল্যে পোশাক পাওয়া যায় ।
তথ্যসুত্রঃ
http://www.investopedia.com/terms/m/multi-fiber-arrangement.asp
https://en.wikipedia.org/wiki/Bangladeshi_RMG_Sector
http://en.maquilasolidarity.org/issues/trade/MFA
http://rantoshak.blogspot.com/2012/05/impact-and-unforseen-implications-of.html
https://en.wikipedia.org/wiki/Multi_Fibre_Arrangement
https://www.wto.org/english/thewto_e/whatis_e/tif_e/agrm5_e.htm
https://www.wto.org/english/docs_e/legal_e/16-tex_e.htm
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন