স্বাগতম

মোদের গরব, মোদের আশা, আমরি বাংলা ভাষা |পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাভাষী মানুষের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই!

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের হতাশার নাম “জব এগ্রিমেন্ট পলিসি” (An Unhealthy Agreement Policy for Textile Engineers)

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের হতাশার নাম “জব এগ্রিমেন্ট পলিসি”


রপ্তানির দিক দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। পুরো বাংলাদেশে প্রায় চল্লিশ হাজারের মত গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে যেগুলো এদেশের ৩৫ থেকে ৪০ লাখ মানুষের কর্মক্ষেত্র  । ২০১৪ সালে এ খাতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৮৪ হাজার কোটি টাকা । বর্তমান গতিতে প্রবৃদ্ধি বজায় থাকলে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে এ রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা । এতএব  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে চলবে ।


টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের এই ক্রমবর্ধমান চাহিদা সত্ত্বেও বিভিন্ন টেক্সটাইল ফার্ম তাদের প্রতিষ্ঠানে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু অন্যাহ্য চুক্তি তৈরি করেছে । চুক্তির দ্বারা তারা নতুন বের ইঞ্জিনিয়ারদেরকে তাদের ফার্মে বেঁধে রাখার চেষ্টা করছে । যে চুক্তি গুলোর মেয়াদ হচ্ছে ২ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ।

চাকরীতে যোগদানের জন্য নতুনদের একটি চুক্তিনামায় সাক্ষর করতে হচ্ছে যেখানে লেখা থাকছে নির্দিষ্ট সময়ের আগে সে ব্যাক্তি তাদের ফার্মের চাকরী ছেড়ে যেতে পারবেন না । এ চুক্তির ভিতরে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মুল সনদপত্রটিও কোম্পনি কতৃপক্ষের কাছে জমা রাখতে হচ্ছে । একমাত্র বিদেশে শিক্ষার সুযোগ অথবা সরকারী চাকরী পেলেই তাকে চাকরী ত্যাগের অনুমতি দেয়া হবে ।

অন্যায্য এ চুক্তি ব্যাবস্থার পেছনে কারন হিসেবে তারা দেখাচ্ছে  ফার্মে নতুন ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ দেয়ার সময় ফার্ম থেকে তাদের জন্য ৩ থেকে ৬ মাসের ট্রেনিং দেয়া হয় । এ ট্রেনিং দিতে যে অর্থ ব্যয় হয় তা থেকে যেন সর্বোচ্চ মুনাফা ফেরত আসে, এজন্য সেই ইঞ্জিনিয়ারকে ৩-৫ বছরের জন্য তাদের ফার্মে কর্মরত থাকা আবশ্যক ।

এসব চুক্তি কোম্পানির জন্য খুবই ফলপ্রসূ হলেও  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের উপড় খুবই বিরুপ প্রতিক্রিয়া ফেলছে । কারণ এই সেক্টরে ইঞ্জিনিয়ার-রা যখন চাকুরী পরিবর্তন করেন তখন তাদের পূর্ব কর্ম অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে  তারা আরও বড় পোস্ট ও বেতন কাঠামো পেয়ে থাকেন । কিন্তু এই জোর করে চাপিয়ে দেয়া চুক্তি ইঞ্জিনিয়ারদেরকে বড় সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।


তবে আশার কথা  হল এখনও বেশিরভাগ বড়  টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি এসব চুক্তি পদ্ধতির বাইরে । প্রতিনিয়ত টেক্সটাইল খাতে চাকুরীর সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনই বৃদ্ধি পাচ্ছে চাকুরীর যোগ্যতার পরিমাণও । তাই পেশাগত জীবনে টেক্সটাইল শিল্পে উন্নতির জন্য যেমন দরকার যোগ্যতা, তার সাথে দরকার আত্মবিশ্বাস,জ্ঞান, প্রস্তুতি এবং সর্বোপরি ধৈর্য্য ।  

৩টি মন্তব্য:

 

দর্শক সংখ্যা

বিজ্ঞাপন

যোগাযোগ Amitptec6th@gmail.com

সতর্কবার্তা

বিনা অনুমতিতে টেক্সটাইল ম্যানিয়ার - কন্টেন্ট ব্যাবহার করা আইনগত অপরাধ,যেকোন ধরণের কপি পেস্ট কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং কপিরাইট আইনে বিচারযোগ্য !