স্বাগতম

মোদের গরব, মোদের আশা, আমরি বাংলা ভাষা |পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাভাষী মানুষের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই!

রোটর স্পিনিং প্রযুক্তির সংক্ষিপ্ত বিবরণ(A Synopsis About Rotor Spinning Technology)

A Synopsis About Rotor Spinning Technology

রোটর স্পিনিংকে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি নতুন প্রযুক্তি মনে করা হলেও আসলে এটি নতুন নয়।  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বেই এই রোটর স্পিনিং পদ্ধতির ব্যাবহার অল্প অল্প করে শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার অনেক পরে পঞ্চাশের দশকে এই স্পিনিং পদ্ধতির প্রথম কোন ব্যাবহারযোগ্য নকশা উদ্ভাবিত হয় ,
যেটি তৈরি করেছিলেন স্পিনবাউ কোম্পানির জে মিয়াম্ববার্গ । স্পিনবাউ কোম্পানি ১৯৫৫ সালে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস শহরে একটি টেক্সটাইল যন্ত্রাংশের প্রদর্শনীতে এটিকে জনসম্মুখে নিয়ে আসে । তবে ম্যাশিনটি শৈল্পিক দিক দিয়ে খুব বেশি সন্তোষজনক পর্যায়ে ছিল না তাই শিল্পে অনুমিত হতে ব্যার্থ হয় এবং পরবর্তীতে ম্যাশিনটির গবেষণার কাজও পিছিয়ে পরে

১৯৬০ সালে মধ্যইউরোপের দেশ চেকস্লোভাকিয়া  (১৯৯৩ সালে বিভক্ত হয়ে চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া)  স্পিনবাউ এর সৃষ্ট ঐ স্যাম্পল ম্যাশিনটিকে নিয়ে পুনরায় গবেষণা শুরু করে এবং বর্তমান চেক প্রজাতন্ত্রের Bruenn শহরের একটি প্রযুক্তি মেলায় তাদের তৈরি একটি মডেলের প্রদর্শনি করে ।  এই ম্যাশিনটি ছিল পুরোপুরি শিল্পসম্মত। একই বছর ১৯৬৭ সালে বিডি২০০ নামের আরেকটি উন্নত মানের রোটর স্পিনিং ম্যাশিন আবিষ্কৃত হয় এবং এই ম্যাশিনটির দ্বারাই টেক্সটাইল শিল্পে রোটর-স্পিনিং প্রযুক্তির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। রোটর সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া , কোন হাতের স্পর্শ ছাড়া  কাচামাল থেকে সুতা উৎপন্ন করে । 

বর্তমান বাজারে রোটর স্পিনিং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠিত এবং রিং স্পিনিং এর সাথে এককাতারে একে গননা করা হয় । মোট উৎপাদন হওয়া স্টাপল ইয়ার্নের মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ রোটর স্পিনিং প্রযুক্তি থেকে প্রাপ্ত । যতই দিন যাচ্ছে রোটর ইয়ার্ন ধীরে ধীরে আরও বেশি বাজার দখল করে চলছে।

মুলর সত্তর দশকে আর্থিক ও কৌশলগত দিক দিয়ে রোটর প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধিত হয় । প্রথমদিকে তৈরি হওয়া রোটরের সুতা গুলো ছিল অনেক খোলা প্রকৃতির এলোমেলো ভাবে বিন্যাসিত,ভাড়ী কিন্তু দুর্বল।  ক্রমাগত গবেষণা চলমান থাকে,রোটরের যন্ত্রাংশ ও সুতার মান উন্নিত করার চেস্টা অব্যাহত থাকে ।

এখনকার রোটর স্পুন সুতাগুলো রিং স্পিনিং এর প্রায় কাছাকাছি মানের, তবে শিল্পমানের চেয়ে আর্থিক দিকটিই বেশি গুরুত্ব পায় রোটর ইয়ার্নে।  কেননা গত ১৫ বছরের ব্যবধানে রোটরের গতি ৩০,০০০ রেভোলিওশন পার মিনিট থেকে ১০০,০০ এ উন্নিত হয়েছে , ফলশ্রুতিতে রিং স্পিনিং এর তুলনায় রোটর একই সময়ে ৪ গুন বেশি সুতা তৈরি করতে সক্ষম ।  শুধু তাই নয় রোটর দিয়ে ৭০Nm পর্যন্ত কাউন্টের সুতা উৎপন্ন করা সম্ভব। এছাড়া রিং স্পিনিং প্রক্রিয়ায় পূর্বে যে সমস্ত দ্রব্য অব্যাবহারযোগ্য বলে বিবেচিত হত রোটর সেগুলোকে  ব্যাবহারের আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছে  যার ফলে কাঁচামালের অপচয় রোধ হচ্ছে । 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 

দর্শক সংখ্যা

বিজ্ঞাপন

যোগাযোগ Amitptec6th@gmail.com

সতর্কবার্তা

বিনা অনুমতিতে টেক্সটাইল ম্যানিয়ার - কন্টেন্ট ব্যাবহার করা আইনগত অপরাধ,যেকোন ধরণের কপি পেস্ট কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং কপিরাইট আইনে বিচারযোগ্য !