এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্ধকারে
আলো প্রতিক্ষেপন করতে সক্ষম পোশাক বা সাজসজ্জার কাপড় সাধারণত উজ্জ্বল সাদা বর্নের হয়ে
থাকে ।
ফেব্রিকের
গায়ে প্রতিক্ষেপি কাচের কনা,মাইক্রোপ্রিজম,গুটিকায় লেন্স সিল করার মাধ্যমে তৈরি
হওয়া এই কাপড় গাড়ীর হেডলাইটের মত আলোর উৎসকে প্রতিফলন করে অন্ধকারে জ্বলজ্বল করে ফুটে উঠতে পারে। তবে এতে
ভিন্ন ভিন্ন রং দেয়া সম্ভব না হওয়ায় দেখতে ফ্যাশনেবল হয় না।
অতি সম্প্রতি আমেরিকার সিনেসোটা রাজ্যের সেফ রিফ্লেকশন নামক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে আর একটি উন্নতমানের রঙিন আলো
প্রতিক্ষেপক কাপড় উদ্ভাবিত হয়েছে যা কিনা সাধারণ আলোময় পরিবেশে ফ্যাশনেবল পোশাকের
মতই দেখায় কিন্তু আলোর সাপেক্ষে সম্পূর্ণ রং স্পন্দনশীল এবং অন্ধকার পরিবেশে
উজ্জ্বল সাদা বর্ণে নতুন রুপে আবির্ভুত হবে । এ পোশাক পরিহিত কোন ব্যাক্তি খুব সহজেই রাতের ঘুটঘুটে
অন্ধকারে সবার দৃষ্টিগোচর হবেন।
সেফ রিফ্লেকশন প্রতিষ্ঠানের
প্রেসিডেন্ট ছাঁক গ্রুবার বলেন পূর্বেও আলো প্রতিক্ষেপক পোশাক তৈরি হয়েছে কিন্তু
সেগুলো থেকে আমাদের তৈরি ফেব্রিক টি ব্যাতিক্রম মূলত দুটি কারনে
প্রথমত, সাধারণভাবে রং দিলে কোন
প্রতিক্ষেপী পদার্থের প্রতিক্ষেপন ক্ষমতা অনেক কমে যায় যা রঙিন প্রতিক্ষেপী বস্তু
নির্মানের পথে একটি প্রধান বাঁধা । কোন কিছুর
উপরিতলে তাই এমনভাবে রং প্রয়োগ করতে হবে যাতে তার প্রতিক্ষেপন ক্ষমতায় কোন
নেতিবাচক প্রভাব না পরে । আর এখানেই আমাদের তৈরি ফেব্রিকের বিশিস্টতা।কারন আমাদের তৈরি ফেব্রিকের উজ্জ্বলতাকে আমরা প্রায় ৩০০ টি মোমবাতির সমকক্ষ
রাখতে সক্ষম হয়েছি। যা এর আগে কেউ করে
দেখাতে পারে নি ।। গ্রুবার বর্ননা করেন এই
ফেব্রিক শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট বাজার যেমন দৌড়বিদ,মোটর সাইকেল আরোহী,রাতের পথচারি
এসব শ্রেণীর মানুষের জন্য যারা অন্ধকারে নিজেদের দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।
দ্বিতীয়ত, আমরা কোন তলে রং
দেয়ার এমন পথের সন্ধান পেয়েছি যেন সেই রং ধোয়ার পরেও অমলিন থাকে ।
তিনি আরও যোগ
করেন এই ফেব্রিক কে প্রায় ১০০ বার ধৌত করার পরেও এর রং উঠবে না এবং প্রতিক্ষেপন
ক্ষমতারও কোন ক্ষতি হবে না। এই দুটি বিষয়ই সেফ রিফ্লেকশনের তৈরি ফেব্রিক কে
আমেরিকার একটি স্বতন্ত্র প্রযুক্তি হিসেবে প্যাটেন্ট পেতে সাহায্য করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন