প্রতিটি ডাইং
প্ল্যান্ট এ অবশ্যই একটি ল্যাব থাকে । সূতার মান নিয়ন্ত্রণের দায়িক্ত থাকে ডাইং ল্যাবের উপড়
। আমরা জেনেছি ডেনিমের সূতা মূলত দুই ধরণের কেমিক্যাল দিয়ে ডাই করা হয়ে থাকে
ইন্ডিগো এবং সালফার । ইন্ডিগো নীল রঙের অন্যদিকে সালফার কাল , হলুদ ,
বাদামী , সবুজ ও নীল যেকোন রঙের হতে পারে। তবে কাল রঙের সালফার ডাইয়ের ব্যাবহারই
বেশি ।
ডাইড সূতার
মান নিয়ন্ত্রণ তথা শেড ম্যাচিং এর জন্য বিশেষ কয়েকটি প্যারামিটার নিয়ন্ত্রণে রাখতে
হয় যেমন ইন্ডিগো কঞ্ছেন্ট্রেশন,রিডিউসিং এজেন্ট কঞ্ছেন্ট্রেশন, পি এইচ , তাপমাত্রা
, স্কুইজিং প্রেশার ইত্যাদি।
১) ইন্ডিগো কঞ্ছেন্ট্রেশনঃ
শেড এনালাইসিস করে একটি অর্ডারের জন্য শেড পার্সেন্টিজ বের করা হয় এবং সেই অনুযায়ী
ডাই করতে প্রতিটি ডাই বাথ কত ঘনত্বের ইন্ডিগো সলিউশন থাকা প্রয়োজন তার রেঞ্জ দেয়া
হয়। ইন্ডিগো পাউডার ফর্মে থাকে বিধায় সলিউশনে এর ঘনত্বকে গ্রাম পার লিটার এককে
হিসাব করতে হয় ।
কোন কারনে
ডাই বাথের ঘনত্ব মাত্রার থেকে বেশি হয়ে গেলে শেড লালচে কালো দেখাবে । আবার ঘনত্ব
কম থাকলে শেড হবে হলুদ বর্ন ধারণ করবে ।
২) রিডিউসিং এজেন্ট কঞ্ছেন্ট্রেশনঃ
ইন্ডিগো ডাইং এর জন্য শক্তিশালী রিডিউসিং এজেন্ট সোডিয়াম হাইড্রোসালফাইড আবশ্যক ,
যা অদ্রবনীয় লিউকো ইন্ডিগোকে দ্রবনীয় ধর্মে নিয়ে আসে । এজন্য ডাই বাথের প্রতি
লিটার ইন্ডিগো সলিউশনে ০.৭ থেকে ১.২৫ গ্রাম ঘনত্বের সোডিয়াম হাইড্রোসালফাইড বজায়
রাখতে হয়।
রিডিউসিং এজেন্টের
ঘনত্ব বেড়ে গেলে শেডে নীল রঙের আধিক্য দেখা দেয় অপরদিকে ঘনত্ব কম থাকলে তা সবুজ দেখায়
।
৩) পি এইচঃ ইন্ডিগো
পাউডার নীল রং ধারণ করে ঠিকই কিন্তু তার জন্য সঠিক ভাবে অক্সিডাইজড হওয়া প্রয়োজন।
এজন্য ইন্ডিগো পাউডার কে ক্ষারীয় মাধ্যমে দ্রবীভূত করতে হয় । সেই কাজটিই করে
কাস্টিক সোডা । কাস্টিক সোডা ইন্ডিগোর সাথে মিশে গিয়ে হলুদাভ-সবুজ দ্রবন উৎপন্ন
করে ।
দ্রবনের ক্ষারত্ব
নিয়ন্ত্রিত হয় কাস্টিক সোডা ডিজলভ হওয়ার পরিমানের উপড় যা pH এর রিডিং দিয়ে নির্দেশিত হয় । তূলার মত সেলুলোজিক ফাইবারের জন্য pH
এর মান ১১.৫ থেকে ১২.১ রাখতে হয় ।
যদি কখনো pH এর মান এর উপড়ে ওঠে তবে শেড লাইট হবে
অন্যদিকে pH কমে গেলে শেড লালচে দেখাবে ।
৪) তাপমাত্রাঃ ইন্ডিগো
ডাইং এর আরেকটি গুরুত্বপুর্ন প্যারামিটার হচ্ছে তাপমাত্রা , ডাই বাথের তাপমাত্রা
৩২ ডিগ্রী ধরে রাখতে হয় ।
৫) স্কুইজিং প্রেশারঃ
প্রতি টি বাথ অতিক্রম করার সময় সূতাগুলোকে দুটি স্কুইজ রোলারের ভিতর দিয়ে গমন করে
, তাই স্কুইজ রোলারের চাপের উপড় ডাই ফিক্সেশন নির্ভর করে । ভাল ডাইং এর জন্য এজন্য
স্কুইজ প্রেশার ৫ বার রাখা হয় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন