বলা হয়ে থাকে
বস্ত্র প্রকৌশলীদের সামাজিকতার বড়ই অভাব ! সামাজিকতার ধারে কাছে না ঘেঁষে তারা
কারখানার ম্যাশিনের আশেপাশে থাকতেই নাকি বেশি ভালবাসেন। অনেকেই বলে থাকেন ফেব্রিকের কোয়ালিটি ঠিক রেখে ডায়িং এর শেড মেলাতে মেলাতে নিজের
জীবনের রং যে কখন ফ্যাকাশে হয়ে যায় তা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা খেয়ালই করেন না। আর কস্টিং-কন্সাম্পশনের হিসাব করে সঠিক সময়ে শিপমেন্ট করতে গিয়ে অনেকেই নাকি নিজের জীবনের হিসাবে তালগোল পকিয়ে ফেলেন। কিন্তু প্রত্যেক বস্ত্র প্রকৌশলীর সফলতার মূলসূত্রই হল এই সামাজিকতা, আরও পরিষ্কার
করে বললে পেশাগত যোগাযোগ। কারিগরী দক্ষতার সাথে পেশাগত জীবনে যার যোগাযোগ
যত বেশি তার সফলতার সম্ভাবনাও তত বেশি ।
বাংলাদেশের
প্রেক্ষাপটে অন্য বিভাগের স্নাতকদের চেয়ে বস্ত্র প্রকৌশলীদের স্নাতক শেষ করেই কর্মজীবনে
প্রবেশ করা অনেক বেশি সহজ। তবে বস্ত্র ও পোশাকখাতের নিয়োগ
প্রক্রিয়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পারস্পারিক যোগাযোগ নির্ভর। তাই অন্যদের চেয়ে
এগিয়ে থাকতে হলে কারিগরী দক্ষতার পাশাপাশি ব্যাক্তিগত যোগাযোগ বাড়ানো বা বহুল প্রচলিত
শব্দ #নেটওয়ার্কিং এর কোন বিকল্প নেই। মানুষের সাথে সহজে কার্যকর যোগাযোগ গড়ে তোলার দক্ষতা প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখবে
অনেকখানি সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
একজন বস্ত্র
প্রকৌশলের শিক্ষার্থী পছন্দের মানুষকে নিজের ভালোলাগার কথা জানাতে পিছিয়ে থাকতে পারে
( যদিও তা মোটেও কাম্য নয়)!!!!! কিন্তু নিজের পেশাগত জীবনে সফলতার জন্য পরিচিতি বা যোগাযোগ বাড়ানোর প্রক্রিয়াতে
কোনভাবেই পিছিয়ে থাকার উপায় নাই। বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ১ম বর্ষ থেকেই
নিজের পরিচিতির গণ্ডি বাড়াতে হতে হবে সচেষ্ট।
বর্তমানে
ফেসবুক লিঙ্কডইনের এই সময়ে নিজের নেটওয়ার্ক সমৃদ্ধ করা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সহজ। মেসেঞ্জারের চ্যাট বক্সে পরিচিত হ্যান্ডসাম ছেলেদের বা সুন্দরীদের হাই হ্যালো দেয়ার
পাশাপাশি লিঙ্কডইনে অপরিচিত পেশাজীবীদের সময় নিয়ে সুন্দর সাবলীল গোছানো বার্তা পাঠালে
১ম পক্ষর চেয়ে ২য় পক্ষের ভবিষ্যতে কাজে আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই বস্ত্র প্রকৌশল পড়ুয়া ভাইয়া বা আপুরা একটু হলেও আজকেই সচেতন হয়ে যান । নিজেকে বস্ত্র প্রকৌশলের যে শাখায়
সফল হিসেবে দেখতে চান সে বিষয়ে কারিগরী দক্ষতা অর্জনের সাথে সাথে নিজের নেটওয়ার্কের
সিগন্যালটাকে করে নিন আর একটু শক্তিশালী!
আর যারা কর্মক্ষত্রে
নিজেদের দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন প্রতিনিয়ত তাদেরকে যোগাযোগে দক্ষ হয়ে ওঠার সুফল
বোঝানোর কিছু নেই। আপনারা ভিনদেশী তথাকথিত ইন্টারপারসনাল কমিউনিকশনে
স্কিল্ড পেশাজীবীদের সাথে টেক্কা দিয়েই টিকে আছেন, আপনারাই ভাল জানেন যোগাযোগ বা নেটওয়ার্কিং দক্ষতার গুরুত্ব। তাই জীবনের দৌড়ে নিজেকে একটুবেশি এগিয়ে রাখতে হলে পরিচিত
পেশাগত সম্পর্কগুলো নিয়মিত ঝালিয়ে রাখুন আর নিজেকে নিজের কাজকে ইতিবাচক ভাবে প্রকাশ
করুন প্রতিনিয়ত।
আরও বেশি
সামাজিক হয়ে উঠুন প্রত্যেক বস্ত্র প্রকৌশলী !
পোস্ট দিয়েছেনঃ
Zobaer Ul
Alam Rasel
Bsc. In Textile Engineering
Pabna Textile Engineering College
|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন