প্রথমে কোন কাগজে নকশা তৈরি করে তাকে উচ্চ তাপমাত্রায় ও চাপের প্রভাবে কোন টেক্সটাইল কাপড়ে প্রতিস্থাপন করার
পদ্ধতিকে ট্রান্সফার প্রিন্টিং বলে।
১৯৫৮ সালে ফ্রান্সে এই
প্রিন্টিং পদ্ধতি প্রথম স্বীকৃত ব্যাবহার শুরু হয় এবং ১৯৬৮ থেকে বাণিজ্যিকভাবে
ব্যাবহার হতে থাকে।
সবরকম কাপড়ে এ পদ্ধতিতে রং করা
গেলেও নিটেড কাপড় এ পদ্ধতির জন্য
সর্বোত্তম। কাপড়কে মসৃণ হতে হবে। কাপড়কে অবশ্যই পরিস্কার হতে হবে কোন প্রকার ধাতু থাকলে
ডিস্পার্স ডাই ধাতুকে আকর্ষণ করে এতে প্রিন্টিং কাজে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ট্রান্সফার প্রিন্টিং করার
জন্য যেকোন ধরণের কাগজ ব্যাবহার করা যেতে পারে তবে তার উপড় যেন প্রলেপ দেয়া ও
চকচকে করা যায়। কারণ সেলুলোজিক কাগজ খুব দ্রুত
ডাই রসায়ন শোষণ করে বিবর্ণ হয়ে যায়। আবার শিরিষ
আঠার প্রলেপ দিলে কাগজকে অভেদ্য করা যেতে পারে। তবে ট্রান্সফার প্রিন্টিং করার জন্য অবশ্যই কাগজের কিছু বিশেষ গুণ থাকা অনিবার্য
যেমনঃ-
১) প্রিন্টিং পদ্ধতির বিবেচনায় কাগজের
ওজোন সাধারণত ৩৫ থেকে ১১৫ জি এস এম(GSM) এর মধ্যে হতে হবে।
২) বেশি গতিতে প্রিন্টিং করতে
কাগজকে যথেষ্ট পরিমানে শক্ত হতে হবে যেন তার কোনভাবে ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা না
থাকে।
৩) কাগজকে অবশ্যই দৃঢ়তা সম্পন্ন
হতে হবে যেন তরল কালি ঐ কাগজকে প্রয়োজনের বেশি ভিজিয়ে না ফেলে । ঠিক ততটুকূই ভিজবে
যতটুকু স্থায়ীভাবে কাপড়ে নকশা সৃষ্টির জন্য জরুরী।
৪) নকশা বা ছবি যাতে কোনভাবে
বিকৃত না হয় তার জন্য কাগজকে প্রয়োজনমত স্থিতিশীল হতে হবে।
৫) কালির স্তর থেকে যেন কাগজে
প্রাঞ্জলভাবে কালি বের হয়ে আসতে পারে ।
৬) কাগজকে ২২০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের
উপড়ে তাপসহণশীল হতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন