ফ্যাশন মার্কেটিং কোন ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি ব্যাবসার বা কোন ফ্যাশন হাউজের সমস্ত উদ্ভাবনী অংশের সমান গুরুত্বপূর্ণ অংশ । ফ্যাশন মার্কেটিং গবেষনা,পরিকল্পনা,প্রোডাক্টের উন্নয়ন করে তাকে ভোক্তার কাছে সঠিকরুপে পৌঁছে দেয়া নিশ্চিত করে ।
উপরিউক্ত বিষয়গুলোর উপড় বিস্তারিত পর্যালোচনা ও কোন ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা প্রত্যেক ব্যাক্তির অবদান ফ্যাশন মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত থাকে । ফ্যাশন মার্কেটিং এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি বিতরণ ব্যাবস্থার উপড় । অন্যদিকে উৎপাদন কাজে মার্কেটিং পিছনের শক্তিরুপে কাজ করে ।
তবে এককথায় ফ্যাশন মার্কেটিং এর শুরু থেকে শেষ,
কার্যত ভোক্তার পছন্দ ও
গ্রহণযোগ্যতা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত । ব্যাবসায় প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির সাথে সাথে,
ভোক্তার পছন্দ অপছন্দ তথা বাঁছাই করার মানুষিকতা বৃদ্ধি পায় ।আবার দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হলে যখন মানুষের আয় বাড়ে, তখন ভোক্তার সিদ্ধান্ত মার্কেটিং প্রক্তিয়াকে অনেক বেশি মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে ।
এছাড়া কিভাবে আরও ভাল মানের ও আরও সস্তায় জিনিস পাওয়া যাবে এই চিন্তা ভোক্তাকে একটি নির্ভরযোগ্য পন্যের সহজলভ্যতা ও মনোরম পরিবেশে কেনাকাটার সুবিধার দিকে ধাবিত করে । ফলে ভোক্তার চাহিদা উৎপাদন কাজ থেকে বাজারজাতকরণ পরিস্থিতিতে রূপান্তরিত হয়ে শিল্পকে প্রভাবিত করতে থাকে ।
যদি আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগের কথা চিন্তা করা যায় তাহলে দেখা যায় বাজার দর্শনের
আমুল পরিবর্তন এসেছে। শিল্প এখন ভোক্তা খুজতে আগের চেয়ে অনেক উদ্যমী এবং এর জন্য দীর্ঘ গবেষণায় আগ্রহী । ভোক্তার প্রয়োজন মাফিক প্রোডাক্টের উন্নতিকল্পে যত্নবান । ফ্যাশন হাউজের নির্বাহী কর্মকর্তারা অবিরত ভোক্তার আচরণকে বোঝার চেষ্টা করেন । ভোক্তারা ভবিষ্যতে কি চাইতে পারেন তার সুত্র খুজে বের করেন ।
পেশাদার বিশেষজ্ঞরা কিছু বাস্তবধর্মী মার্কেটিং গবেষণা প্রক্রিয়া ব্যাবহার করেন যার সাহায্যে তারা পালাক্রমে ভোক্তার প্রয়োজনের সাথে ম্যানুফ্যাকচারারের ক্ষমতা ও খুচরো বিক্রেতাদের সমন্বয় সাধন করেন যার ফলে সামগ্রিক ভাবে প্রোডাক্টের উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত হয় ।
ফ্যাশন ফার্ম বিশাল অংকের টাকা বাজেট রাখে তাদের মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের জন্য । এর মধ্যে থাকে প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন প্রচারের খরচ , বাজারজাতকরন পদ্ধতির উন্নয়ন কাজ ও তাদের প্রোডাক্টের সুদৃঢ় চাহিদা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিচালিত কৌশলের
বিভিন্ন খরচ । যার চূড়ান্ত ফল হিসেবে কোন একটি ব্র্যান্ড বা দোকানের নাম জনসাধারণের কাছে অপ্রতিয়মান পরিচিতি পায়। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন পন্যের প্রতিযোগিতায় তাদের পন্যকে টিকে থাকার ক্ষমতা দেয় ।
তবে এখানেও সীমারেখা থাকে যার মধ্যে মার্কেটিং এর সফলতা নিরূপণ হয়। যদি জনগন কোন নতুন সুবিধার প্রোডাক্টকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত না থাকে কিংবা কোন প্রোডাক্ট ব্যাবহার করতে একঘেয়েমি বোধ করে, তাহলে যতই বিজ্ঞাপন প্রচার করা হোক
, তার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয় না ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন