স্বাগতম

মোদের গরব, মোদের আশা, আমরি বাংলা ভাষা |পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাভাষী মানুষের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই!

গরমে ফ্যাশন সচেতন মেয়েদের পোশাক(Women's Summer Collection)

ছবি কর্টেসিঃ runway during the Elie Saab Spring Summer 2016


শুরুর ইতিহাস
এক হাজার বছর আগে মানুষ নিজেরাই তাদের পোশাক তৈরি করত প্রয়োজনে বাড়িতেই  কৃষিজাত কাঁচামাল উৎপাদন ও টেক্সটাইলের রুপান্তরের কাজ করত একজন কৃষক হয়ত মাঠে তুলা ফলাত, এবং তার স্ত্রী তুলা থেকে সুতা ও পরে কাপড় বোনাত , সে কাপড় পরিবারের সবাই ব্যাবহার করত মাস ম্যানুফ্যাকচারিং শুরু হওয়ার আগে শেলাই ছিল শুধুই মেয়েদের কাজ , সমাজের ধনী লোকেরাই শখের বসে দর্জির কাছে যেত ।




প্রথম বাড়ির বাইরে পোশাক তৈরি শুরু হয়েছিল ১৮০০ সালের দিকে, যখন পেশাজীবী পুরুষ দর্জিরা টেইলারিং এর কাজ শুরু করে , তবে তা ছিল শুধুই পুরুষদের পোশাকে সীমাবদ্ধ ।  আগের পোশাক পরিচ্ছদ ছিল প্রথাগত এবং ব্যাক্তি বিশেষ কে কেন্দ্র করে  

পেশাগতভাবে বাড়ির বাইরে মেয়েদের পোশাক তৈরি শুরু হলেও বেশির ভাগ মেয়েরাঘরে পোশাক তৈরিতে অভ্যস্থ ছিল ।  বিংশ শতকের শুরু থেকে মেয়েদের কিছু কিছু পোশাক যেমন স্কার্ট, ব্লাউজ শিল্প কলকারখানায় তৈরি হতে শুরু করে । তখন থেকেই বৃহদায়তন শিল্পে নারী পোশাকের পথচলার সূচনা 


একবিংশ শতাব্দীতে  মেয়েদের পোশাকের বাজার মানে একটা বিশালাকার মাল্টিবিলিওন ডলারের শিল্প । লক্ষ লক্ষ লোক এখানে কাজ করে  ।  অর্থনীতির উপড় এ বাজারের প্রভাব খুবই শক্তিশালী

প্রয়োজনের স্বার্থেই এই শিল্প সব সময় একটা পরিবর্তনশীল অবস্থায় মধ্যে থাকে ।  নারীর রুচি ও স্টাইল  বৈশ্বিক অর্থনীতি ও নতুন নতুন প্রযুক্তির উপড় প্রভাব ফেলে চলেছেএটা সেই রকম একটি ইন্ডাস্ট্রি যা সত্যিকার অর্থে খুব বেশি পরিবর্তন ও নতুনত্বের উপড় টিকে আছে । 


পোশাকের সুবিধা,সাইজ,মুল্য ইত্যাদির মাপকাঠিতে যেমন পোশাকের শ্রেণীবিন্যাস করা হয় , তেমনই ভিন্ন ভিন্ন ঋতুর জন্য পোশাক কে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেনীতে ভাগ করা হয় । কারন  অনেক পোশাক রয়েছে যেগুলো শুধুই এক ঋতুতে পরিধানের জন্য , অর্থাৎ সেগুলোর ব্যাবসা শুধু বছরের একটা সময়েই হয়ে থাকে ।  

     
সিজন ও ক্যালেন্ডারের ভিত্তিতে  ডিজাইনাররা উইন্টার ও সামার সিজনে তাদের কালেকশন গুলোকে তুলে ধরেন ।  ছয় মাস আগেই নতুন ফ্যাশনের কালেকশনগুলোকে খুচরো বাজারে প্রদর্শনের প্রস্তুতি নেয়া হয় পোশাকে সামার সিজনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি  । বছরের একটা বড় সময়ে আবহাওয়া উষ্ণ থাকায় নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর দেশে সামার কালেকশনের ব্যাবহার বেশি ।  


গরমে হোয়াইট ও সফট কালারের পোশাক বেস্ট, কারন এ রঙ তাপ প্রতিফলন করে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে পারে । অন্য দিকে ব্লাক বা ডিপ কালার তাপ ধরে রাখে । সামার সিজনে তূলাকে চয়েজ লিস্টের প্রথমে রাখা উচিৎ  ,কারন তুলা ঘাম শোষণ করে এবং এ কাপড়ের শুন্য স্থানগুলো ঘামকে দ্রুত বাষ্পীভূত হতে সাহায্য করে , যা শরীরকে শীতল রাখার পূর্বশর্তএছাড়াও ঢিলেঢালা পোশাক এয়ার সারকূলেট করে  সুতরাং লুজ ফিটিং পোশাক টাইট ফিটিং পোশাকের তুলনায় এই ঋতুতে বেশি উপযোগী ।

ছবি কর্টেসিঃ Sunsilk style & fashion @ Desh.tv


চলুন দেখে নেই, গরমে মেয়েদের পছন্দের কয়েকটি পোশাক সম্পর্কে ।

স্কার্ফঃ মেয়েরা মাথার বা ঘাড়ের চারিপাশে স্কার্ফ পরে পরিচ্ছন্ন ও ফ্যাশনেবল দেখাতে কিংবা ধর্মীয় কারনেও স্কার্ফ পরার চল অনেক আগের থেকেইরঙ, ডিজাইন ও কাপড়ের ধরণ স্কার্ফের জন্য বড় ব্যাপার  


প্রথম স্কার্ফের ব্যাবহারের শুরু হয়েছিল প্রাচীন রোমেগরমের দিনে মুখ ও গলার ঘাম মোছার জন্য তখন এর নাম ছিল sundarium, যার অর্থ ঘাম শোষক পোশাক  মূলধারার ফ্যাশন উপকরণে স্কার্ফ স্থান পায় বিশ শতকের মাঝে এসে   


শুধু শিত নয়, গ্রীষ্মের তাপদাহের মধ্যেও স্কার্ফ হতে পারে খুব মার্জিত একটি পোশাক অনেকের কাছে স্কার্ফ তারুণ্যের প্রতীক আবার অগোছালো চুলকে ঢেকে রাখার স্বার্থেও স্কার্ফ  পরা যেতে পারে রোদে স্কার্ফ সূর্যের তাপ থেকে বাঁচায়  

সুন্দর ভাবে ফিট হওয়া জিন্স প্যান্টের সাথে স্কার্ফকে বেল্টের মতোও ব্যাবহার করা যেতে পারে

স্কার্ফ ব্যাবহারের এতসব উদাহরণ বিফলে গেলেও, স্কার্ফকে আরও একটি ভাবে ব্যাবহার করা যেতে পারে ।  স্কার্ফকে ব্যাগের হ্যন্ডেলের সাথে বাঁধলে তা হয়ে উঠবে আরও গরজিয়াস ও ফ্যাশনেবল  ।   


স্কার্টঃ অনেক সংস্কৃতিতে স্কার্ট কে ভদ্রতা বা শালীনতার প্রতীক হিসেবে মানা হয় পশ্চিমা বিশ্বে স্কার্ট মেয়েদের একটি খুব কমন পোশাক আর্মেনিয়ার  আরেনি-১ গুহা কমপ্লেক্সে  খ্রিস্টপুর্ব ৩৯০০ অব্দের খড় থেকে বোনা একটি স্কার্টের সন্ধান পাওয়া গেছে । এ থেকে বোঝা যায় স্কার্ট অনেক প্রাচীন সংস্কৃতির মানুষের মধ্যেও  প্রচলিত ছিল । নিকটম প্রাচীন সংস্কৃতিতে আমরা দেখতে পাই,   ডিয়ান কুন মিয়াও  নামের  স্কার্টকে এই মিনি স্কার্টেটি কেবল মাত্র নিতম্বকে ঢেকে রাখত , চীনা উপজাতী মহিলারা এটি পড়ত, মধ্যযুগের গোড়া  মানুষদের কাছে হয়ত এটি জঘন্য বলে মনে হত ।

  
মধ্যপ্রাচ্যের অভিজাত শ্রেণীর মেয়েরা ৩ মিটার দৈর্ঘের লঙ স্কার্ট পরত   ১৯৬০ সালের দিকে শর্ট স্কার্টের প্রচলন শুরু হয় । আঠারো শতকে স্কার্টের মত পোশাককে পেটিকোট নামে ডাকা হতউনিশ শতকে ছোট আকারের শর্ট স্কার্ট ওয়েস্টার্ন কালচারে বিপুল গ্রহণযোগ্যতা পায় । ১৮৯০ এর দিকে হাটাহাটি বা খেলাধুলার পোশাক হিসেবে রেইনি ডেইজি স্কার্ট এর প্রচলন শুরু হয় ।  এগুলোর ছিল ছোট হেমলাইন ও দৈর্ঘ্যে মাত্র ছয় ইঞ্চির মত  ।


আবার বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভিক কালে অর্থাৎ প্রায় ১৯১৫ সালের দিকে হেমলাইনের স্কার্ট এর ব্যাবহার সম্পূর্ণ উঠে যায় সত্তরের দশকে স্কার্ট এতোটাই ছোট আকার ধারণ করে যে তা শুধু আন্ডার ওয়্যারের এক্সপজারকে এড়াত ।  অনেক মানুষের কাছে এগুলো ছিল ট্যাবু পোশাক এরই মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে মেয়েদের ফর্মাল পোশাক হিসেবে প্যান্টের ব্যাবহার বৃদ্ধি পেতে থাকে । তবে স্কার্ট এর ক্ষেত্রে কোন একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যই বেশি সময়ের জন্য স্থায়ী হয় নি ।

    
যখন আপনি কোন রাস্তা দিয়ে যাবেন তখন  স্কার্টের সাথে ফুল স্লিভ টপ সুন্দর মানিয়ে যাবে গরমের দিনে ঢিলেঢালা ফিরোজা কালারের সিল্কের স্কার্ট হলে তো কথাই নেই


কটন ব্লাউজঃ ব্লাউজ একটি লুজ ফিটিং আপার গার্মেন্টস যাকে পূর্বে শুধু কর্মজীবি মহিলারাই ব্যাবহার করত কোমর পর্যন্ত বিস্তৃত এই পোশাকটি একটু ঢিলা অবস্থায় থাকে ব্লাউজ একটি ফেঞ্চ শব্দ যার অর্থ ডাস্ট কোট


ব্লাউজ ঐতিহাসিক ভাবে পিব স্টাইলের পোশাক , ১৮৯০ সালের পূর্বে মহিলারা ইনফর্মাল ড্রেস হিসেবে কৃষিকাজের সময় ব্লাউজ পড়ত । 


পরবর্তিতে ভিক্টোরিয়ান যুগেও ব্লাউজ ব্যাবহারিক ও ইনফর্মাল পোশাক হিসেবেই ছিল একটি প্লেইন স্কার্টের সাথে ব্লাউজ কর্মজীবি মহিলাদের জন্য পারফেক্ট পোশাক বলে গন্য হত ১৯০০ ও ১৯১০ সালের দিকে লিঙ্গেরিক ব্লাউজ ও Gibson girl blouse, দিনের ও ইভিনিং ওয়ার হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সাদা ব্লাউজের সাথে dirndil অস্ট্রেলিয়ান মেয়েদের পছন্দের কমন পোশাক এগুলো খুব হালকা ওজোনের সিল্ক বা তুলা দিয়ে তৈরি এখানে ক্লাসিক ফ্যাশনেবল পোশাকের সাথে আধুনিক পোশাকের সমন্বয় ঘটেছে


ভারতীয় উপমহাদেশে ব্লাউজের ব্যাবহার কিছুটা ভিন্ন ধরণের  সাধারণত শারির সাথে ব্লাউজ পরা হয় , অনেকসময় একে ছলি নামেও সম্বোধন করা হয় এ ব্লাউজ গুলো শরীরের সাথে টাইট ফিটিং হয় এবং  নাভি উন্মুক্ত থাকে এ ডিজাইন গ্রীষ্মে দক্ষিন এশিয় অঞ্চলের জন্য উপযোগী একটি পোশাক রীতি এছাড়া এর সামনে বোতামও থাকে  


হারেম প্যান্টঃ  ঢিলেঢালা লম্বা প্যান্টের নাম হারেম প্যান্ট ।  এটি প্যান্ট এর দৈর্ঘ্য পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত আগে একে হারেম স্কার্টও বলা হত প্রথম এ প্যান্টের প্রচলন হয় ১৯১০ এর দিকে পাশাচ্য সংস্কৃতিতে , যদিও মধ্যপ্রাচ্যের সালোয়ারের অনুকরণে এটিকে তৈরি করা হয়েছিল । একই রকমের প্যান্ট দক্ষিন এসিয়ায় কামিজের সাথে ব্যাবহার করা হয়, যাকে শালোয়ার বলা হয়



শালোয়ার কামিজ ও চুড়িদারঃ
শালোয়ার কামিজ দক্ষিন এশিয়ার একটা ট্র্যাডিশনাল পোশাক । শালোয়ার আসলে একটি  জেনেরিক নাম যা সম জাতীয় অনেক স্টাইলের পোশাককেই বোঝায় । সালোয়ার হল নিচের অংশে পরার প্যান্ট, আর কামিজ উপড়ের শার্ট । এ দুটি পার্ট নিয়ে মূলত শালোয়ার কামিজ ,তবে সাথে একটি ফ্যাশনেবল ওর্না শ্রী বৃদ্ধি করে

সালোয়ারের কথায় আসলে, এটি বেশ ঢিলে ঢালা ধরণের পাজামা ।  উপড়ের দিকে চউড়া এবং নিচের দিকে কাপড় সংকীর্ন হয়ে গোড়ালি পর্যন্ত নামে অন্যদিকে কামিজ বেশ লম্বা দৈর্ঘের একটি শার্ট বিশেষ, সাথে পাশ্চাত্য স্টাইলের কলার যুক্ত থাকতে পারে কামিজকে ফ্যাশনেবল করতে প্রতিনিয়ত একে নতুন আঙ্গিকে তৈরি করা হচ্ছে 

কিছু কামিজের কোমর থেকে নিচের অংশ পর্যন্ত পাশের শেলাই খোলা রাখা হয় যা পরিধানকারীকে নাড়াচাড়ায় পুর্ন স্বাধীনতা প্রদান করে

কামিজে অনেক রকমের স্টাইলের সমাবেশ ঘটেছে ও ঘটছে ,কামিজের গলার দিকের অংশ অনেক রকম ভাবে কাটা যেতে পারে, আবার থ্রি কোয়াটার , ফুল  বা স্লিভ লেস কামিজও হতে পারে ।
শালোয়ার মূলত দক্ষিন এশিয়ার আফগানিস্থান, খাইবার পাখতুন, কাজাখস্থানি মহিলাদের পোশাক । তবে বর্তমানে এটি ভারত পাকিস্থান ও বাংলাদেশের মহিলাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ।  

পাঞ্জাবী সুইট শালোয়ার কামিজঃ ট্রেডিশনালি পাঞ্জাব এলাকার সালোয়ার কামিজ গুলো একটু ভিন্ন স্টাইলের, যাকে পাঞ্জাবী সুইট শালোয়ার কামিজ বলা হয় । কামিজ গুলোর নিচের অংশের কাপড় সোজা ভাবে কাটা হয় এবং উপড়ের অংশ একটু টাইট ফিটিং হয়ে থাকে । কিন্তু নিচের শালোয়ার টি থাকে অপরিবর্তিত


পাঞ্জাবের গ্রামীণ এলাকায় সালোয়ার কামিজকে সুথান বলা হয়
কামিজের সাথে চুরিদার পায়জামা সাম্প্রতিক কালে খুব বেশি জনপ্রিয় , দক্ষিন এসিয়ার ভারত ও বাংলাদেশের মহিলাদের মধ্যে। তবে প্রাথমিক ভাবে পাঞ্জাবের মহিলাদের পোশাক হিসেবেই এর  পরিচয় ঘটেছিল, কিন্তু বর্তমানে ভারত বাংলাদেশের মহিলাদের মূলধারার  ফ্যাসানের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে গেছে । স্কুলে পরা মেয়েদের মাঝে এর ব্যাবহার অনেক বেশি ।  


শেষ করব দেশীয় পোশাক ফতুয়া দিয়ে , গরমের আরামদায়ক পোশাক হিসেবে ফতুয়ার তুলনা হয় না। ফতুয়ার প্রচলন সুদূর অতীত থেকেই। কিন্তু যখন থেকে ফ্যাশনে স্টাইলের পাশাপাশি আরামকেও প্রাধান্য দেয়া শুরু হলো, তখন থেকেই  ফ্যাশনের জগতে ফতুয়ার আনাগোনা। এখন নারী পুরুষ সমানতালে ফতুয়া পরছেন


ফতুয়াকে ক্যাজুয়াল ঘরোয়া পোশাক হিসেবে গন্য করা হলেও এর সুবিধা হলো কাজের জায়গা বা অফিসেও এটা মানিয়ে যায় বেশ সহজে শিশু থেকে বৃদ্ধ - যে কেউ পরতে পারেন ফতুয়া। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে সাধারণত কিশোরী ও তরুণীরাই ফতুয়া পরে থাকেন।

ফতুয়া তৈরির কাপড়েও নেই কোনো বাঁধাধরা ব্যাপার। সাধারণ সুতি কাপড় দিয়ে যেমন ফতুয়া বানানো যায়, তবে লিনেন কাপড় দিয়ে ফতুয়া তৈরি করলে তা হবে গরমের জন্য সবচেয়ে আরামদায়ক পোশাক ।
জিন্স প্যান্ট ফতুয়ার সাথে সবচেয়ে পপুলার । তবে  ফতুয়ার সাথে কালো, বাদামি বা কফি কালারের ছিনোস গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পরতে পারেন ।


মেয়েরা ফতুয়ার সাথে স্কার্টও পরতে পারেনফতুয়ার সাথে মানানসই একটি স্কার্ফ ভাল মানাবে ।
 মেয়েদের ফতুয়ার হাতা থ্রি কোয়াটার বা বেল হাতা হতে পারে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 

দর্শক সংখ্যা

বিজ্ঞাপন

যোগাযোগ Amitptec6th@gmail.com

সতর্কবার্তা

বিনা অনুমতিতে টেক্সটাইল ম্যানিয়ার - কন্টেন্ট ব্যাবহার করা আইনগত অপরাধ,যেকোন ধরণের কপি পেস্ট কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং কপিরাইট আইনে বিচারযোগ্য !