বিগত দের দশক যাবত টেক্সটাইল
পণ্যের প্রোডাকশনে নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষা তথা প্রশাসনিক ব্যাবস্থা শীর্ষ অগ্রাধিকারের
বিষয়ে পরিনত হয়েছে । এসব শর্ত পূরণ করে কোন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করা তাই পূর্বের
তুলনায় অনেক প্রতিযোগিতা পূর্ণ হয়ে পরেছে ।
একটি কার্যকর টেক্সটাইল
সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের গুরুত্ব চলে আসে সবার প্রথমে। খরচ, মান, প্রাপ্যতা,
পরিবেশ ও সামাজিক বিবেচনার মাপকাঠিতে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের কিছু আইনী
সমীকরণ তৈরি হয়েছে, ক্রেতা রক্ষার
নিমিত্তে প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্টের জন্য যা বাধ্যতামূলক ।
উৎস ও উৎপাদক বিষয়ক নিত্য
চলমান প্রশ্নগুলোই টেক্সটাইল ব্যাবসার সামনে নতুন বাস্তবতা,যাদের সাথে এই শিল্পকে
মানিয়ে নিতে হয়েছে ।
ক্রেতা বা জনগণ কোন
ব্র্যান্ডের কাছ থেকে স্বচ্ছতা ও দায়িক্তশীল ব্যাবহার আশা করে । আর বর্তমানে এই জায়গাতেই
তারা প্রত্যাশার বৈপরীত্যের সম্মখিন হচ্ছেন । যেমন টেক্সটাইলের প্রধান উৎপাদক দেশ
যেমন ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ , কম্বোডিয়া ও পাকিস্থানের শিল্প প্রতিষ্ঠানে কিছু হাই
প্রোফাইল দুর্ঘটনা ঘটে গেছে । বিনিয়োগের প্রশ্নে বাইয়ার-রা তাই অনেকটাই আস্থা
হারিয়েছেন ।
সংক্ষিপ্ত প্রোডাক্ট সাইকেল
এবং দীর্ঘ সময়ব্যাপী উৎপাদন কাজ খুব সাধারণভাবেই ভুল ত্রুটির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় । অনিয়োমিত সাপ্লাই এবং অনিয়োমিত
চাহিদার প্রভাব পরে মুল্যের ওঠানামায় । পোশাকের লাইন প্রয়োজনীয় উৎপাদন
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যার্থ হয় ।
তাই আজকের টেক্সটাইল সাপ্লাই
চেইনের একটা বড় প্রশ্নের উত্তর বিচক্ষণ তথ্য ব্যাবস্থা । যার পূর্বশর্ত হিসেবে প্রস্তুতকারকরা
সাপ্লাই চেইনের সব হট স্পটগুলোকে চিহ্নিত করেন । যেমন তূলার ক্ষেত্রে পানি সেচ,
কীটনাশক ইত্যাদি বিষয় গুলোতেও মনোযোগ দেন । যে যে পথে বা মাধ্যমে উৎস থেকে প্রযোজক
পর্যন্ত গার্মেন্টস পোশাক তৈরির কাজ সমাপ্ত হয়ে থাকে ।
একটি কার্যকরী অপারেশন যথেষ্ট
অন্তর্দৃষ্টি ছাড়া গড়ে তোলা সম্ভব না । একমাত্র একটি টেকসই ব্যাবসা বান্ধব চলমান
সাপ্লাই চেইনের মাধ্যমেই স্বচ্ছতা প্রাপ্তি সম্ভব ।
খরচ , সহজলভ্যতা , মান ও
ধারণক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ে চিন্তা বা পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য
কিভাবে সংগ্রহ করা হবে, সেইটা অবশ্যই একটা বড় প্রশ্ন । একটি আদর্শ টেক্সটাইল সাপ্লাই চেইন কিন্তু একশ
থেকে হাজার খানেক স্বতন্ত্র কোম্পানি পর্যন্ত বিস্তৃত থাকতে পারে , যাতে
প্রত্যেকটির তাদের নিজ নিজ প্রোডাক্ট সম্পর্কে ছোট ছোট তথ্য এবং সেগুলোর যন্ত্র বা
কর্ম সম্পাদনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা থাকে ।
এখানেই আই টি সমাধান নিয়ে
এসেছে, যেমন সাপ্লাই চেইনের সাথে সংশ্লিষ্ট দলগুলোর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য সংযোগ
করার মধ্যে দিয়ে কোন আইটেমের ঘাটতি বোঝা যায় । থাকে তাকে সমালোচনামূলক দৃষ্টিকোন
থেকে দেখতে পারার সুযোগ । যেমন যদি কোন ডিপার্টমেন্টে পাঁচটি ফ্লোর থাকে , তবে
তাদের প্রত্যেকটি কোম্পানির নিজস্ব সাইবার সিস্টেমের দ্বারা সংযুক্ত করতে হবে । এই
সংযোগ শুধু বর্তমানে নয় ভবিষ্যতে কাচামালের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ।
পৃথক পৃথক সাপ্লাইয়ারের
কর্মদক্ষতাকে এবং সাপ্লাই চেইনকে ব্যাবহৃত উপকরণের সামগ্রিক পারফর্মেন্স উন্নতি
কল্পে সহায়ক ভুমিকা পালন করে । সমগ্র টেক্সটাইল চেইন এর মধ্যে পরিস্কার চিত্রের
জন্য আই টি সলিউশন কে অবশ্যই নিচের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা থাকতে হবে ।
১) পুরো সাপ্লাই চেইনের সব
এলাকার মধ্যে অন্তদৃষ্টি প্রদান করতে সক্ষম এবং সাপ্লাই চেইনকে বিশ্লেষণধর্মী হতে
হবে ।
২) সাপ্লাইয়ার পর্যায়ে
পণ্যের মান উন্নত করার লক্ষ্যে ক্রেতার অবস্থান থেকে কাজকে
মূল্যায়ন করা এবং ক্ষমতাকে স্থিতিশীল পর্যায়ে রাখার সক্ষমতা ।
৩) উৎস থেকে ক্রেতার কাছে পণ্যকে পৌছাতে সাহায্য করা।
৪) প্রমান মূল্যায়নের সুগঠিত মাপকাঠি থাকা ।
৫) সাহায্য করার ক্ষমতা,
উদাহরণস্বরূপ অন্যান্য টেক্সটাইল নির্মাতা বা ঐ ধরণের সংগঠন আপনার সাপ্লাই চেইনে প্রবৃদ্ধি
ঘটাতে পারবে কিনা
তবে অবশ্যই আই টি সামগ্রীক সমাধান ব্যাবস্থার একটি উপকরণ মাত্র । সাপ্লাই চেইনে সত্যিকার অর্থে স্বচ্ছতা
আনার জন্য সঠিক ব্যাক্তিকে সঠিক জায়গায় এবং সঠিক পদ্ধতিকে সঠিক স্থানে রাখার নিশ্চয়তা
প্রয়োজন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন