(অতিথি পোস্ট)
স্টক পন্য কেনা বেচার ক্ষত্রে
কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবেঃ-
১. মালামাল এর পেমেন্ট এর ক্ষত্রে
Bank
LC মাধ্যমে করুন, বা Back
to Back LC. তে কাজ করুন। লোকাল হলে হেন্ড
ক্যাশ এ পেমেন্ট নিন।
২. বায়ার পেয়ে আবেগী হওয়া যাবে না, ভালো করে তার ব্যাকগ্রাউন্ড জেনে নিন। কোথা থেকে নেয়, কি পরিমান নেয়, কাদের সাথে লেনদেন করে তাদের খোজ খবর নিন।
৩. অনেকেই প্রডাকশন এর নাম করে
স্যাম্পল করিয়ে বিদায় নেয়, এদের কাছ থেকে
দুরে থাকুন।
৪. যেহেতু টাকা পয়সার বিষয় আছে
তাই প্রাইজ এর ব্যাপারে Straight Forward হওয়া ভালো।
৫. মেক্সিমাম লট রিজেক্টশন এর
কারন হলো লিড টাইম বা টাইমলি দিতে না পারা, এর সাথে অনেক সময় ডাইং এবং গার্মেন্টস ফল্টস থাকতে পারে তাই নেয়ার আগে দেখে
নিতে হবে ।
৬. প্রাইস ফেক্ট হলে হতাশ হওয়া যাবে না।
ষ্টক লট
ব্যাবসার সহজ থিউরি হলো যা কেনার সময় লাভ হয় না তা বেচার সময়ও লাভ হয়
না
৭. এই ব্যাবসার মুল বিষয় হলো
প্রোডাক্ট প্রাইজ । তাই ব্যাবসা করার আগে প্রাইস আর কোয়ালিটি নিয়ে ভাবুন।
৮. লটের রিজেক্টশন এর কারন জেনে
নিন ।
৯. বড় ভলিউমের লট কেনার পর
জন্য সাথে হায়ার করা এক্সপার্ট রাখতে পারেন, এতে আপনার রিক্স মিনিমাইজ হবে।
১০. কিছু কিছু বায়ার প্রথমে টাকা
লেনদেন ভালো করলেও পরে বড় লটের মাল নিয়ে টাকা দেয় না, তাই সাবধানে কাজ করুন।
১১. বাকিতে মাল দেয়া যাবে না। কারন
মুলধন একবার হারালে তা আর পাবেন না।
১২. স্টক লট কেনার আগে তার পার্টি হাতে
রাখুন। এতে রিস্ক কমে যাবে আপনার।
১৩. প্রোডাক্ট দেখে কিনুন যেমন বাংলাদেশের লোকাল মার্কেটে
চলার মতো লট কিনুন যেমন : ডেনিম, প্যান্ট শার্ট, পোলো শার্ট, টি শার্ট ।
১৪. অপ্রচলিত কিছু প্রডাক্ট যা
আমাদের বাংলাদেশের মার্কেটের সাথে বা কালচার এর সাথে যায় না যেমন লিঞ্জারি, বিকিনি, সুইম সুট, সেক্সি সর্টস এমন প্রডাক্ট গুলি না কেনাই ভালো। কারন।
এগুলির জন্য আমাদের মার্কেট সীমিত।
১৫. অনেক বায়ার আছে যারা স্যাম্পল দেখার
কথা বলে আর স্যাম্পল ফেরত দেয় না, পরিচিত লোক ছাড়া
কাওকে স্যাম্পল দেয়া যাবে না।
১৬. এই ব্যাবসা শুরুর আগে যারা
পুরাতন তাদের সাথে থেকে কিছু দিন ব্যাবসা শিখতে হবে হুট করে কিছুই করা ঠিক নয়।
১৭. কাপড় আর গার্মেন্টস এর
কোয়ালিটি সম্পর্কে ব্যাপক ধারনা থাকা চাই কারন নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুরের কিছু যায়গায়
বিদেশী গার্মেন্টস এর ডিজাইন কপি করে নামি দামি ব্রেন্ড এর স্টক বলে চালিয়ে দেয় । তাই এই ধরনের
স্টক ক্রয় করা থেকে সাবধান থাকা চাই।
১৮. এই ব্যাবসা করার আগে স্টক লট
এর সোর্স কোথায়, তার ধারনা থাকতে হবে কারন আপনি সোর্স না জানলে আপনাকে মিডিয়ার ভায়া হয়ে কিনতে হতে পারে
। আর ভায়া মানে প্রফিট কম আর রিক্স বেশি।
১৯. আপনার হাতে দেশী বায়ার ছাড়াও
বিদেশী বায়ার থাকতে হবে, আর বায়ার দের
ঠিকানা বা ডিরেক্টরি নেট থেকে সংগ্রহ করে রাখতে পারেন।
২০. স্টকের পরিমান কম হলে প্রাইস বেশি হওয়া স্বাভাবিক।
২১. খুব বেশি সমস্যা না হলে বায়ারদের
কম প্রাইস বলবেন না । তার কারন হলো একবার কম প্রাইস হলে পরের বার তারা বেশি প্রাইসে নিতে চায় না।
২২. বস্তা করা স্টক এর ক্ষেত্রে একটা সমস্যায় অনেকেই পরেন । অনেক সময়
বিক্রেতা ভালো বস্তার সাথে গোপনে খারাপ বস্তা ঢুকিয়ে দেয়। অনেকেই এই ভাবে সর্বশান্ত হয়েছে।
২৩. এই সেক্টর এর ব্যাবসা নির্ভর
করে বায়ার এর উপর তাই আগে বায়ার খুজুন পরে ব্যাবসা।
২৪. যদি পারেন ডিরেক্ট ফ্যাক্টরি থেকে
মালামাল কিনুন, এতে লাভের পরিমান বেশি।
২৫. আর মাল পলি করার মানে এই নয়
যে এটি ১০০% ভালো, মনে রাখতে হবে
ভালো মাল কখনো স্টক হয়না। স্টক মানে ধরেই নিতে হবে ৬০% খারাপ তাই কেনার সময় আবেগী কম হতে হবে।
২৬. বায়ার এর জেনুইন কপি অনেক সময়
১০০% কপি করে লোকালি প্রডিউস করা হয় একে মাস্টার কপি করা হয়, একে বোঝা খুব কস্টকর, বায়ার মাস্টার কপি কিনতে চায় না।
২৭. স্টক লট মানে তা ১০০%
কোয়ালিটিফুল নয়, ১০০% ওকে হলে তা স্টক হতো না, স্টক লট মানে ৪০% পিউর। তাই কেনার সময় ১০০% ওকে বললে তা ঠিক নয়।
পোস্ট দিয়েছেনঃ
Production officer woven dyeing at Intramex group (textile)
Courtesy: Textilelab
u just saved me
উত্তরমুছুন