স্বাগতম

মোদের গরব, মোদের আশা, আমরি বাংলা ভাষা |পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাভাষী মানুষের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই!

অনলাইন অর্থনীতির একাল সেকাল(An Easy About Online Economics)




কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত নেটওয়ার্কের সাহায্যে চলা যে কোন প্রকার অর্থনৈতিক কাজকে ই-কমার্স বলে । ই-কমার্সের গতিশীলতা প্রবলভাবে মানুষের মনোযোগ আকর্শন করেছে । এখন শহুরে জীবনের একটা অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে ই-কমার্স । যদিও দু দশক আগে ই-কমার্স ধারনা কল্পনাতীত ছিল । ইলেকট্রনিক কমার্স , সাধারণ ভাবে যাকে e-commerce বা eCommerce লেখা হয় সহজ কথায় ইন্টারনেট ব্যাবহার করে কোন প্রোডাক্টের ক্রয় বিক্রয় এবং এ সম্পর্কিত পরিসেবার মান সহজীকরণ হল ই-কমার্স 




মোবাইল কমার্স, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্র্যান্সফার, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, ইন্টারনেট বিপণন , অনলাইন ট্রান্সসেকশন প্রসেসিং , ইলেকট্রনিক ডেটা ইন্টারচেঞ্জ, ঈনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং স্বয়ংক্রিয় তথ্য সংগ্রহের সিস্টেম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ইলেক্ট্রনিক কমার্সের যাত্রা ।  


ই-কমার্সের মানচিত্রঃ-
মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে ২০১০ সালে, যুক্তরাজ্য ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্সের বাজার

২০১৩ সালে, ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে চেক প্রজাতন্ত্রে  সবচেয়ে বেশি ই-কমার্সের লেনদেন হত বর্তমানে দেশটির অর্থনীতির মোট টার্ন ওভারের এক চতুর্থাংশ ই অনলাইন চ্যানেল থেকে আসছে

আমেরিকাদের কাছে ই-কমার্স দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিনত হয়েছে । অনলাইনে বিল পরিষোদ এবং অনলাইন শপিং আমেরিকানদের ই-কমার্স ব্যাবহারের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র ।


উদীয়মান অর্থনীতির দেশ চীন-এ ই-কমার্সের বাজার প্রতিবছর লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে । দেশটিতে প্রায় ৭০ কোটি ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী রয়েছে । ২০১৫ সালের প্রথম দিকে চীনে অনলাইন কেনাকাটার পরিমাণ ছিল ২৫৩ বিলিয়ন ডলার । অনলাইনে কেনাকাটার দিকে মানুষকে আকৃষ্ট করতে চীনের বিক্রেতারা অত্যন্ত সফলতার পরিচয় দিয়েছেন । যার ফলশ্রুতিতে চীনের মোট খুচরা কেনাকাটার  ১০ শতাংশই এখন অনলাইনে হচ্ছে ।




ই-কমার্সে চীনের বৈদেশিক লেনদেনের পরিমাণ বিগত চার বছরে ৩২% বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৬ সালে ২.৩ ট্রিলিয়ন চাইনিজ মুদ্রায় পৌঁছেছে যা ৩৭৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমান ।

অনলাইনের মোট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৯.৬ % চীনের অবদান চীনের বিখ্যাত অনলাইন মার্কেটের নাম আলি বাবা। চীনের সমগ্র অনলাইন মার্কেটের  ৮০% মালিক আলি বাবা

ব্রাজিলের ই-কমার্স ২০১৩ সাল থেকে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং ২০১৭ নাগাদ ১৭.৩ বিলিয়ন ডলারের বাজারে পরিনত হবে বলে আশা করা হচ্ছে  । ব্রিটিশ অর্থনীতির ১৫% এখন ই-কমার্সের দখলে।



ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের সংখ্যার ভিত্তিতে ভারত বিশ্বে তৃতীয় । যদিও ইন্টারনেটে অনুপ্রবেশের পরিমাণ ভারতে এখনও অনেক কম । অনলাইন শপিং এর সূচনা লগ্নে রয়েছে এখন ভারততবে বিপুল সংখ্যার ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী থাকায় , খুব তাড়াতাড়ি অনলাইন সপিং এই দেশে প্রসারিত হবে আশা করা হচ্ছে ।    

কাস্টমার তৈরি করতে ভিন্ন ধাঁচে তৈরি হচ্ছে ভারতের শপিং ওয়েবসাইটগুলোর বিজ্ঞাপন



অনলাইন মেগাস্টোরঃ
নব্বই দশকের মধ্যে ইন্টারনেট বাণিজ্যে কিছু বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসেঅ্যামাজন বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান

  
১৯৯৫ সালে একটি অনলাইন বইয়ের দোকান হিসেবে যার যাত্রা শুরু হয়েছিল  ইট ,বালু , সিমেন্টের তৈরি অগণিত দোকান থাকলেও তখন অ্যামাজনই ছিল অনলাইন ব্যাবসা করা একমাত্র দোকান । অ্যামাজন ই প্রথম শারীরিক বা স্থানের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে একজন ক্রেতাকে কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জানার ও কেনার সুবিধা প্রদান করে


ডিভিডি,সিডি,MP3 Download, কম্পিউটার সফটওয়্যার,ভিডিও গেমস, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, পোশাক , ফার্নিচার, খাবার নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সকল কিছুই এখন অ্যামাজন থেকে কেনা যায়


অনলাইন ব্যাবসার অনন্য উদাহরণ অ্যামাজনই প্রথম প্রোডাক্ট সম্পর্কে ক্রেতাকে মূল্যায়ন করার সুযোগ দেয় একজন ক্রেতা প্রোডাক্টকে নাম্বার দিয়ে রেটিং করতে পারেন । বর্তমানে অন্য সব অনলাইন সপ এই রেটিং পদ্ধতি গ্রহণ করছে অ্যামেরিকার মধ্যে প্রায় ৬৫ মিলিওন মানুষ অ্যামাজনের নিয়মিত ক্রেতা। ২০১০ সালে শুধু অ্যামেরিকা থেকে অ্যামাজন ৩৪.২৪০ বিলিয়ন ডলার আয় করে নেয় । ২০০১ অ্যামাজন ডট কম তাদের মোবাইল ভার্সন ওয়েবসাইট চালু করেছিল



অনলাইন কেনাকাটার জগতে আরেকটি বড় সাফল্যের নাম ebay ,  ebay প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে ।  Zappos,Victoria Secret আরও দুটি উল্লেখযোগ্য অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটের নাম

ইয়াহু প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে , এরপর গুগোল প্রতিষ্ঠা পায় ১৯৯৮ সালে  অ্যামেরিকার এ প্রধান দুটি সার্স ইঞ্জিন পরে গুগল শপিং ও ইয়াহু অকশন নামের দুটি ওয়েবসাইট তৈরি করে


গ্লোবাল ই-কমার্স কোম্পানি Paypal ১৯৯৮ সালে যাত্রা শুরু করে , যা কিনা বর্তমানে ১৯০ টি দেশে চালু রয়েছেকোম্পানির অধিকৃত ব্যাংকগুলো বিক্রেতাদের পেমেন্ট প্রদান করে বিশ্বের ২৪ টির বেশি মুদ্রায় Paypal এ অর্থ জমা রাখা ও একাউন্ট করা যায়

Paypal এর ২৩২ মিলিয়ন একাউন্ট রয়েছে, যার মধ্যে ১০০ মিলিয়ন একাউন্ট সক্রিয়ভাবে লেনদেন হয়

Paypal এর গঠন , স্টোরেজ, প্রচার ও নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে  ২০০৪ সালে পেইমেন্ট কার্ড ইন্ডাস্ট্রি , সিকিউরিটি স্টান্ডার্ড কাউন্সিল তৈরি হয় ।





২০১৪ সালে বিভিন্ন কাজে সারা বিশ্বে মোবাইলে ফোনে পেমেন্ট হওয়া অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৩০ বিলিয়ন ডলারসহজ ইন্টারনেট ডিফাইজ ট্যাবলেট ও মোবাইল প্রচলন দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় , ই-কমার্স ব্যাবহারের একটি বৃহত্তম ভোক্তা শ্রেণী তৈরি হচ্ছে । তাই ই-কমার্স বাজারের ভবিষ্যত খুবই সুনিশ্চিত । যেহেতু প্রতিনিয়ত বেশি বেশি মানুষ ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হচ্ছে , তাই লেনদেন বা যোগাযোগের সুবিধার কাছে প্রয়োজন গৌণ মনে হচ্ছে



ভবিষ্যতের মানুষ হয়ত ইলেকট্রনিক মাধ্যম থেকেই তাদের বেশিরভাগ কেনাকাটার কাজ করবে । বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে , তাই ব্যাবসা ও মানুষের মধ্যে কথোপকথনের পরিমাণও বাড়ছে।  সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে মোবাইল ই-কমার্স নতুন নতুন ব্যাবহারের পথ উদ্ভাবন করবে আশা করা যায়। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 

দর্শক সংখ্যা

বিজ্ঞাপন

যোগাযোগ Amitptec6th@gmail.com

সতর্কবার্তা

বিনা অনুমতিতে টেক্সটাইল ম্যানিয়ার - কন্টেন্ট ব্যাবহার করা আইনগত অপরাধ,যেকোন ধরণের কপি পেস্ট কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং কপিরাইট আইনে বিচারযোগ্য !