মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ । আর ক’দিন পরেই আসছে ঈদ ৷ ঈদ মানেই তাই নতুন জামাকাপড় ৷ তাই জমে ওঠে মুসলিম দেশগুলোর ঈদের বাজার ৷ দেশে দেশে মানুষের সংস্কৃতিগত পার্থক্যের কারনে ঈদের পোশাকে এসেছে বৈচিত্র্যতা ।
আসা যাক ছেলেদের পোশাকে, কোন দেশের
ছেলেরা ঈদে কোন কোন পোশাক পরতে ভালবাসে ,
একুশ
শতকের আধুনিক পোশাক রীতির আবহে কোর্তা ছেলেদের কাছে খুব ফ্যাশনেবল ও ট্রেন্ডি একটি
পোশাক।তাই ঈদে কোন পাকিস্থানী ছেলের পোশাক হতে পারে কোর্তা, পাজামা অথবা শেরোয়ানী , সাথে কাশ্মেরি
উলের তৈরি মাফলারের মত দেখতে শাল আনবে পুর্নতা। রয়েছে সিন্ধী টুপি ও ঐতিহ্যবাহী ধুতির প্রচলন।
রঙের বিবেচনায় ঈদে সবাই সাদা রঙকেই প্রাধান্য দেয় । শেরোয়ানির সাথে কোর্তা, পাজামা অথবা জিন্সের সাথে
লং ও শর্ট শার্ট ঈদে পাকিস্থানি ছেলেদের প্রিয়
কিছু পোশাক ।
সিরিয়ার ছেলেদের একটি ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম কাফতান । লম্বা কোটের মত দেখতে পোশাকটিতে থাকে লম্বা হাতা । |
মিশোরের
ছেলেদের ঐতিহ্যবাহী ঈদের পোশাক গ্যালিবায়া (gallibaya) । গ্যালিবায়া একধরণের লম্বা ঝোলা শার্ট । গ্যালিবায়া''র উপড়ে কাফতান মিশরের ছেলেদের
খুব প্রিয় ।
পায়ের পাতা পর্যন্ত লম্বা এবং চউড়া হাতার গাউনের মত এ পোশাকটির নাম জুব্বা । মিশর ও সৌদি আরবের ছেলেদের প্রধান পোশাক এটি । উপড়ের অর্ধেকে বোতাম লাগানো জুব্বা হতে পারে ঈদের জন্য খুব ভাল আনুষ্ঠানিক পোশাক । |
ইউরোপিয়ান পোশাকের সহজলভ্যতার কারনে দিন দিন ঐতিহ্যবাহী সাজসজ্জা ঢাকা পরতে থাকলেও ঐতিহ্যবাহী তার্বোস (Tarboosh) টুপির প্রচলন এখনও অনেক বেশি । পাঞ্জাবী অথবা শেরওয়ানীর সাথে একটি Tarboosh টুপি ঈদ আনন্দের উপলক্ষকে বাড়িয়ে দেয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন