সুচারু
ম্যানেজমেন্টের গুরুত্ব সবখানে তা প্রোডাকশনই হোক ,কিংবা সেলস ডিপার্টমেন্ট বা
মার্কেটিং ।বর্তমানে মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের উপড় ম্যানেজমেন্টের গুরুত্ব
সর্বাধিক । মার্কেট কনসেপ্ট একটি দর্শনের মত যাকে ঠিকঠাক ভাবে কখনই
সংজ্ঞায়িত করা যায় না । প্রকৃত অর্থে এটি আসলে একটা আচরণ বা মতামতের সমষ্টি যেটা সম্পূর্ণ ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়াকে কে নিয়ন্ত্রণে রাখে ।
বর্তমানের
বাংলাদেশের রপ্তানি খাতেরর সিংহভাগ আয় আসছে আর এম জি বা রেডি মেইড গার্মেন্টস
শিল্প থেকে ।
পোশাক
তৈরিতে বাংলাদেশের সক্ষমতাকে বিশ্বের কোন দেশই অগ্রাহ্য করতে পারে না । রপ্তানিমুখি
এই শিল্পের যে প্রধান আইটেমগুলো রপ্তানির শীর্ষে রয়েছে সেগুলো হচ্ছে ওভেন শার্ট , ট্রাওজার ,ডেনিম, জ্যাকেট , জে- শার্ট , শর্ট
ব্রিফ ইত্যাদি ।এগুলোর প্রধান ভোক্তা দেশ অ্যামেরিকা,ক্যানাডা ও ইউরোপিয়ান দেশসমুহ ।
আর
এম জি সেক্টর ও বাইং হাউজঃ গার্মেন্টস রপ্তানি বৃদ্ধির সাথে
সাথে বেড়েছে বাইং হাউজের সংখ্যা। বিদেশি বাইয়ার খোঁজা , বাইয়ারের
কাছ থেকে পোশাকের অর্ডার নেয়া , লোকাল ফ্যাক্টরিতে অর্ডার গুলোকে বুঝিয়ে দেয়া ইত্যাদি
কাজের জন্য বাইং হাউজের সৃষ্টি । ১০ বছর আগেও বংলাদেশে কোন নির্ভরযোগ্য বাইং হাউজের খোঁজ মেলা
ভার ছিল । কিন্তু এখন ঢাকার আনাচে কানাচে অসংখ্য
বাইং হাউজ তৈরি হয়েছে । কেননা গার্মেন্টস রপ্তানির জন্য বাইং হাউজের উপযোগিতা দিন
দিন বাড়ছে ।
বিদেশি
বাইয়াররা যেমন সাপ্লাইয়ার খুঁজে পেতে বাইং হাউজের উপড় নির্ভর করে তেমনি বাইয়ারের
অর্ডারের জন্য গার্মেন্টস প্রোডাকশন হাউজকে বাইং হাউজের শরণাপন্ন হতে হয়। গার্মেন্টস
ইন্ডাস্ট্রি আর বাইং হাউজ পরস্পরের উপর নির্ভরশীল দুটি শিল্প আয়ের প্রতিষ্ঠান । একটি ছাড়া আরেকটিকে অচল। কারণ বর্তমানের বিশালাকার গার্মেন্টস প্রোডাক্টের
মার্কেটিং ও বিতরন প্রক্রিয়ার মধ্যে যে অনেকগুলো ধাপ সম্পন্ন করতে
হয় সেগুলোকে একা কোন ফার্মের পক্ষে করা দুঃসাধ্য
ব্যাপার ।
গাঠনিকভাবে
বাইং হাউজকে বলা যায় মার্চেন্টাইজারদের সংগঠন । এটি বিদেশি ক্রেতাদের সাথে আঞ্চলিক
টেক্সটাইল মিলগুলোর মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করে । কোন বিদেশি বাইয়ারের ব্যাবসায়িক সাফল্য নির্ভর
করে কম দামে সঠিক পন্য কেনার উপড় । আর বাইং হাউজ ঠিক এই কাজটিতেই বাইয়ারকে সাহায্য করে । একটি বাইং
হাউজের মোট ছয়টি ডিপার্টমেন্ট থাকে
১) মার্চেন্টাইজিং ডিপার্টমেন্ট
২ ) স্যাম্পলিং ডিপার্টমেন্ট
৩) কমার্শিয়াল ডিপার্টমেন্ট
৪) এক্সেসরি ডিপার্টমেন্ট
৫) প্রোডাকশন ডিপার্টমেন্ট
৬) শিপিং ডিপার্টমেন্ট
এর
মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল মার্চেন্টাইজিং ডিপার্টমেন্ট । এটি সেসমস্ত কাজের
দায়িক্তে থাকে সেগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক
প্রথমেই
আসে ভাল
বাইয়ার খোঁজার চেস্টা করা, উপযুক্ত
বাইয়ার পেলে বাইং হাউজের পক্ষ থেকে বাইয়ারের কাছে ইন্ট্রোডিওসিং লেটার (Introducing Letter) পাঠানো হয়। লেটারে প্রতিষ্ঠানের বিগত বছরগুলোর রেকর্ড , কাজের একটি সামগ্রিকচিত্র , দক্ষতা ও বাইয়ারদের সাথে তাদের সম্পর্কের
বর্ণনা থাকে । অর্ডার পাওয়ার পর প্রথম কাজ হল একটি কস্টিং তৈরি করা যাকে C.M বলা হয় । এখানে প্রতি এককের জন্য খরচের পরিমান হিসাব করা।
ফেব্রিক , লেবার ও আনুসাঙ্গিক সবধরনের খরচের তালিকা তৈরি করতে হয় । তারপরের কাজ হল প্রাইচ নেগোসিয়েশন , এখানে সংশ্লিষ্ট
মার্চেন্টাইজাররা সমস্ত কার্য পরিকল্পনার ব্যায় সম্পর্কে পরিষ্কার হিসাব বের করে
হাউজের জন্য সুবিধামত একটি অর্ডারের মুল্য নির্ধারণ করেন এবং বাইয়ারকে সে মূল্যে
রাজি করায়
।
Joga kicuri post
উত্তরমুছুন